ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জার্মানির নয়নাভিরাম শহর

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জার্মানির নয়নাভিরাম শহর

সাইফ বরকতুল্লাহ : ইউরোপের অন্যতম শিল্পোন্নত ও বৃহত্তম রাষ্ট্র জার্মানি। দেশটির মোট আয়তন ৩,৫৭,০২১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৩,৪৯,২২৩ বর্গকিলোমিটার ভূমি ও ৭,৭৯৮ বর্গকিলোমিটার জলভাগ। আয়তনের বিচারে জার্মানি ইউরোপের মধ্যে সপ্তম এবং বিশ্বের মধ্যে ৬৩তম। আসুন জেনে নেই এই দেশটির পুরোনো নয়নাভিরাম কয়েকটি শহর সম্পর্কে।

কোয়েডলিনবুর্গ : জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের শহর কোয়েডলিনবুর্গ। ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে শহরটি। কাঠের কড়িবর্গা দেওয়া প্রায় ১,২০০টি পুরোনো বাড়ি। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে সরু সরু গলি। মাঝে মধ্যে আসে কোনো খোয়াবাঁধানো চত্বর। প্রায় ছয় শতাব্দী ধরে কোয়েডলিনবুর্গে এই ধরনের বাড়ি তৈরি হয়েছে। এখন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই শহর।

ল্যুবেক : এই শহরটির সমুদ্রযাত্রার সঙ্গে যোগ অনেক দিনের। শহরের কেন্দ্রটিকে একটি দ্বীপের মতো করে ধরে রেখেছে জার্মানির ট্রাফে নদীর দুই শাখা। নদীটি গিয়ে পড়েছে বালটিক সাগরে। মধ্যযুগের শেষ দিকে বাণিজ্যে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ল্যুবেক।



বহু বাড়ি দেখলে সেই সমৃদ্ধির একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। প্রায় ১,৮০০ বাড়ি ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে সংরক্ষিত। ল্যুবেকের পুরোনো অংশটিকে ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়।

ভিসমার : ল্যুবেকের মতো শহর ভিসমারও। তবে এই শহর বালটিক সাগরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ আছে। ভিসমারও রয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায়।



ভিসমারে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্য হল তার তিনটি বড় গির্জা, বন্দর ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বাড়ি, যেগুলোর চূড়া আর বার্নিশ করা লাল ইট দেখলেই তাদের চেনা যায়।

গ্যোরলিৎস : জার্মানির একেবারে পুবের শহর গ্যোরলিৎসে রেনেসাঁস, গথিক ও ব্যারোক- এই তিন ধরনের শৈলী পাশাপাশি পাওয়া যাবে।



হয়তো সেই কারণেই শহরটি ‘লোকেশন’ হিসেবে হলিউডের এতো প্রিয়। ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’, ‘গ্র্যান্ড বুদাপেস্ট হোটেল’ ও ‘গ্যোটে’র মতো ছবির শুটিং হয়েছে এখানে।

হাইডেলব্যার্গ : নেকার নদী, পুরোনো ব্রিজ, দুর্গ আর শহরের পুরোনো অংশ মিলিয়ে হাইডেলব্যার্গ ছিল রোমান্টিক যুগের রোমান্টিকদের কাছেও রোমান্টিক।



গ্যাটে, হ্যোল্ডারলিন, হাইনে ও হেগেলের মতো স্বনামধন্য জার্মান কবি ও দার্শনিকরা হাইডেলব্যার্গকে নিয়ে উচ্ছ্বাস করেছেন। আজও প্রায় এক কোটি বিশ লাখ টুরিস্ট প্রতি বছর এই শহরে ঘুরতে আসেন।

ফ্রাইবুর্গ : ব্ল্যাক ফরেস্টের পাদদেশে ফ্রাইবুর্গ শহরটির ‘চার্ম’ আলাদা। বিশেষ করে শহরের পুরোনো অংশে পথের ধারে যে ছোট ছোট নালাগুলো দিয়ে পানি বয়ে যায়, সেগুলো।



এই নালাগুলো খুব সম্ভবত শহরের ময়লা পানি নিষ্কাশন প্রণালীর অঙ্গ ছিল। তবে মনে রাখবেন, এই নালার পানিতে পা দিলে নাকি শেষমেশ ফ্রাইবুর্গের কারুর সঙ্গে বিয়ে হয়!

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া, ডয়চে ভেলে, সিএনএন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৭/সাইফ/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়