ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

পাকিস্তানে সমালোচনার কেন্দ্রে ইনজামামের ১০ মিলিয়ন রূপি

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৮ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাকিস্তানে সমালোচনার কেন্দ্রে ইনজামামের ১০ মিলিয়ন রূপি

ক্রীড়া ডেস্ক : চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পক্ষ থেকে দলের সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। দুদিন আগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাকিস্তান দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১০ মিলিয়ন রূপি করে দেওয়া হয়। প্রধান কোচ মিকি আর্থার ও অন্যান্য কোচিং স্টাফদের দেওয়া হয় ৫ মিলিয়ন রূপি করে।

কিন্তু প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হককে দেওয়া হয় ১০ মিলিয়ন রূপি। এটা নিয়ে পাকিস্তানের বেশ সমালোচনা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক ইনজামাম যেখানে ১০ মিলিয়ন রূপি পেয়েছেন সেখানে অন্যান্য নির্বাচকরা পেয়েছেন ১ মিলিয়ন রূপি করে। তাছাড়া ইনজামাম দলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডেই যাননি। তারপরও তিনি কিভাবে প্রধান কোচের চেয়ে বেশি অর্থ পুরস্কার পান?

এ বিষয়ের সমালোচনা করে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক ইকবাল কাসেম বলেন, ‘যেখানে প্রধান কোচ ও অন্যান্য কোচিং স্টাফরা ৫ মিলিয়ন করে পেল, সেখানে ইনজামাম-উল-হকের ১০ মিলিয়ন পাওয়াটা দৃষ্টিকটু। প্রধান কোচ যেভাবে এবং যতটুকু দায়িত্ব পালন করেন সেটা একজন প্রধান নির্বাচক করেন না। ইংল্যান্ড সফরে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন কোচ। কিন্তু প্রধান নির্বাচক তো ইংল্যান্ডেই যাননি। তাহলে তিনি কিভাবে কোচের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ পান?’

বিষয়টির সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কোচ মোহসিন হাসান খানও। তার মতে যেহেতু নির্বাচকরা বেতনভুক্ত, সেহেতু তাদের এতো পরিমাণ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

পাকিস্তানের দ্য ন্যাশন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে খেলোয়াড়রা প্রত্যেকে ১০ মিলিয়ন ও অন্যান্য কোচিং স্টাফরা ৫ মিলিয়ন রূপি করে পাবেন। কিন্তু পরে আবার সিদ্ধান্ত হয় যে অন্যান্যদের অর্থের পরিমাণ কমিয়ে প্রধান নির্বাচককে ১০ মিলিয়ন রূপি দেওয়ার। সেক্ষেত্রে মিডিয়া ম্যানেজার, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ফিজিও এবং সংবাহকের অর্থের পরিমাণ কমানো হয়। সেখান থেকে কমিয়ে নির্বাচকদের পুরস্কৃত করা হয়।

ইতিমধ্যে হাইকোর্টে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একটি রিটও করা হয়েছে। পাকিস্তান দলকে পুরস্কৃত করতে ২১৫ মিলিয়ন রূপি খরচ করতে হয়েছে সরকারকে। সমালোচকদের মতে, পাকিস্তানের হাসপাতালগুলোতে ভালো মানের কোনো বার্ন ইউনিট নেই। মাঝে মধ্যেই বোমা হামলার শিকার হয়ে মুমূর্ষ রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু উন্নতমানের সেবা পান না। সেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বেতনভুক্ত খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের এতোগুলো অর্থ পুরস্কার দেওয়াটাকে বাড়াবাড়ি মনে করছেন অনেকে। এই টাকা না দিয়ে ভালো মানের কয়েকটি বার্ন ইউনিট করলে সেটা দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজে লাগত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুলাই ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়