ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফেসবুকে রিমনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

মামুনুর রশিদ রাজিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৮, ১১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফেসবুকে রিমনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

মামুনুর রশিদ রাজিব: বর্তমান সময়ে মোবাইল ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পর, পকেটমার, বেকারত্ব, মাদকের ছোবল, সড়ক দুর্ঘটনা, খাদ্যে ভেজাল, যাত্রাপথে ব্যাগ চুরিসহ নানা ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে আমাদের আশপাশে। কিন্তু বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আচরণ এমন যে, এসব নিয়ে ভাবার সময় যেন আমাদের নেই। আমরা এগুলোকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিচ্ছি! কিন্তু আমার আপনার মতো সবাই যে স্রোতে গা ভাসান না, তার প্রমাণ সাঈদ রিমন।

বরগুনার ছেলে সাঈদ রিমন জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি লড়ে যাচ্ছেন সমাজের অনিয়ম অসঙ্গতির বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে তিনি বেছে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে (https://www.facebook.com/rimon.sayeed) প্রবেশ করলে দেখা যায় সচেতনতামূলক শত শত স্থিরচিত্র।

২০১৪ সালে চোখের সামনে কয়েকবার বাসের জানালা দিয়ে মোবাইল ছিনতাই দেখে রিমন ভাবতে থাকেন এর প্রতিকার এবং নিজের করণীয় বিষয়ে। একসময় প্রতিকারের পথও খুঁজে পান তিনি। শুরু করেন বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্থিরচিত্রের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচারণা। তার ফেসবুক ওয়ালে (প্রোফাইল) একে একে ভেসে উঠতে থাকে সমাজ সচেতনতামূলক বিভিন্ন স্থিরচিত্র কিংবা ভিডিও। স্থিরচিত্রগুলোতে তাকে দেখা যায় মোবাইল ছিনতাইকারী কিংবা মলম পার্টির ভূমিকায়, কখনো কখনো রিকশাচালক, কখনো আবার হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবক কিংবা মাদকাসক্তের ভূমিকায় এবং সঙ্গে সচেতনতামূলক বক্তব্য।

 


প্রথম দিকে স্থিরচিত্রগুলো নিয়ে একটু হেনস্তার শিকার হলেও এখন বেশ সারা পাচ্ছেন এই উদ্যমী যুবক। যার প্রমাণ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ, বরগুনা, নাটোর এবং মুন্সিগঞ্জ পুলিশের বিভিন্ন সময়ের জনসচেতনতামূলক বিলবোর্ড কিংবা লিফলেটগুলোতে। যেখানে রিমনের ফেসবুকে ব্যবহৃত  সচেতনতামূলক একক স্থিরচিত্রগুলো চোখে পড়ে। সমাজের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া এই তরুণকে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন দেখেন তার ব্যবহৃত ছবি অন্য কেউ প্রোফাইল কিংবা ফেসবুক পেজে ব্যবহার করছে নিজেদের মতো ক্যাপশন দিয়ে। তাতে বিভিন্ন জন অশ্লীল কমেন্ট করছে। কিন্তু অনিয়ম অসঙ্গতির কথা সবাইকে জানিয়ে সচেতন করে তোলা তার কাছে নেশার মতো। ফলে রিমনের চলার পথে কোনো বাধাই যেন বড় হয়ে উঠতে পারে না। অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সে এগিয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ সমাজ তথা রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে। এজন্য আমার আপনার কাছে রিমনের চাওয়া খুব অল্প- সামান্য সহযোগিতা। 
 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়