ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়ালটন থেকে লাখ টাকা পাওয়ার খুশিতে ভাসছে পরিবার

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন থেকে লাখ টাকা পাওয়ার খুশিতে ভাসছে পরিবার

মো. মাসুম মিয়া এবং তার পরিবারের হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

জাকির হুসাইন : ‘বাড়িতে টিভি, ফ্রিজ, রাইস কুকার, প্রেসার কুকারসহ সবই আছে। তবে যৌথ পরিবার হওয়ায় আরেকটি ফ্রিজ প্রয়োজন হয়। এ চাহিদা মেটাতে ওয়ালটন থেকে একটি বড় ফ্রিজ কিনি। সেই ফ্রিজ কিনেই ১ লাখ টাকার উপহার পেয়েছি। এই প্রথম আমরা কোনো পুরস্কার পেলাম। তাই ওয়ালটন থেকে লাখ টাকা উপহার পাওয়ায় খুশিতে ভাসছে আমাদের বড় পরিবার।’

ওপরের কথাগুলো গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. মাসুম মিয়ার। ওয়ালটন পণ্য কিনে প্রতিদিনই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার ঘটনা ঘটছে সারা দেশে। ক্যাশ ভাউচারপ্রাপ্তদের তালিকা ইতোমধ্যে অনেক লম্বা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাসুম মিয়া একজন।

মো. মাসুম মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুরে। তবে গত ২০ বছর ধরে রাজধানীর কদমতলীর মিরাজনগরে নিজস্ব বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বাস করছেন। যৌথ পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট দুই ভাই মালয়েশিয়ায় থাকেন। তাদের বউ ছেলে-মেয়ে, নিজেদের মা-বাবা এমনকি তার ছোট বোনও তার যৌথ পরিবারের সদস্য।

মাসুম মিয়া বলেন, ‘পরিবারের বড় ছেলে হওয়াতে যৌথ পরিবারের বোঝা বলতে পারেন আমার কাঁধের ওপর। তবে অন্য ভাইয়েরা আর্থিক সহায়তা করে থাকে। পরিবারের কোনো কিছু কেনার দরকার হলে সবাই মিলে টাকা দিয়ে কিনি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিবারের সদস্য ১২ জন। বাড়িতে আগে থেকে বিদেশি কোম্পানির একটা ফ্রিজ ছিল ঠিকই, কিন্তু তার সার্ভিস ভালো পাচ্ছিলাম না। তা ছাড়া একটিতে আমাদের বড় পরিবারের চাহিদা মিটছিল না। ফলে আরো একটি বড় ফ্রিজ খুব দরকার হচ্ছিল। কিন্তু ভাই দুজন বিদেশে থাকায় এতদিন কেনা হয়নি। সম্প্রতি ছোট ভাই ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে। তাই এবার ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ জানুয়ারি দুই ভাই মিলে ফ্রিজ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হই। কিছুদূর যাওয়ার পর ছোট ভাই জানতে চায় কোন কোম্পানির ফ্রিজ কিনব।’

মাসুম বলেন, ‘ছোট ভাইকে আমি বলি, আমাদের বাসায় আগে থেকেই ওয়ালটনের টিভিসহ আরো অনেক পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সার্ভিস খুবই ভালো দিচ্ছে। তা ছাড়া কিছুদিন আগে আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন ইলিশ মাছের দাম অনেক কম ছিল। কম দামে ইলিশ মাছ কিনে ফ্রিজআপ করতে ফ্রিজ কেনার ধুম পড়ে যায়। সে সময় দুই দিনেই ১০/১২টি ফ্রিজ আমার চোখের সামনে কিনতে দেখি। যা ওয়ালটন কোম্পানিরই ছিল।’

মাসুম বলেন, ‘গ্রামের ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফ্রিজ দেখেছি। যারা ব্যবহার করছেন, তারা সবাই ভালো বলে জানিয়েছেন। ঢাকায় এসে এর সত্যতা পেয়েছি। তা ছাড়া, আমি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা আমার আছে। সবকিছু হিসেব করে দেখলাম ওয়ালটন ফ্রিজ কেনাই বেটার হবে। আমার মতের সঙ্গে দ্বিমত করেনি ছোট ভাই। তাই ওয়ালটন কোম্পানির ফ্রিজ কিনব এটা ফাইনাল হয়।’
 

ওয়ালটনের সৌভাগ্যবান ক্রেতা মো. মাসুম মিয়াকে নিয়ে পিক-আপে করে আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি


মাসুম জানান, তারা দুই ভাই রাজধানীর দনিয়ায় ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ইলেকট্রো ভিশনে যান। যাচাই-বাছাই করে ২১ সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ পছন্দ করেন। যার দাম ৩২ হাজার ৬০০ টাকা। তখন শোরুমের ম্যানেজার আমিনুল হকের কাছ থেকে জানতে পারেন ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং ক্যাশ ভাউচারের অফারের কথা।

তিনি বলেন, ‘এ অফারের আওতায় গত ৯ তারিখেও ইলেকট্রা ভিশন থেকে একজন ১ লাখ টাকা পেয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে তারা পুরস্কার বিজয়ীর ছবিসহ নিউজও আমাকে দেখান। এতে আমাদের বিশ্বাস হয়। পুরস্কার পাওয়ার আগ্রহও জাগে। তাই অতি আগ্রহের সঙ্গে অফারে অংশ নিতে শোরুমের কর্মকর্তাদের পরামর্শে মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করি।’

মাসুম বলেন, ‘ফ্রিজের টাকা ছোট ভাই পরিশোধ করলেও রেজিস্ট্রেশন করি আমার নামে। পরে ফ্রিজটি নিয়ে শোরুম থেকে বের হয়ে ভ্যানে উঠাব, ঠিক এমন সময় মোবাইল বেজে ওঠে। মনে মনে ভাবলাম এটা ওয়ালটনেরই হবে। মোবাইল বের করে দেখি আসলেই ওয়ালটনের ম্যাসেজ। পড়ে দেখি ১০ হাজার টাকার পুরস্কার। সাথে সাথে শোরুমে আবার যাই। কর্মকর্তাদের জানালে তারা এসএমএসটি পড়ে বলেন, এটা ১০ হাজার নয়, ১ লাখ টাকা। তখন ম্যানেজার হেড অফিসে ফোন করেন। কথা শেষ করে বলেন, ঘটনা সত্য। আপনি পেয়েছেন ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।’

তিনি বলেন, ‘ম্যানেজারের ওই কথা শোনার পর আমাদের কেমন যে লেগেছিল তা বলে বোঝাতে পারব না। ওয়ালটনের এই উপহার আমার জীবনের সব চেয়ে বড় উপহার। আমার বাবা-মাসহ আমার সব আত্মীয়-স্বজন দারুণ খুশি। তবে বেশি খুশি আমার বাবা। কারণ তিনি তার জীবনে কোনো দিন কোনো উপহার, বা পুরস্কার পাননি। তাই ওয়ালটন থেকে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়াতে তিনি ভীষণ খুশি।’

ক্যাশ ভাউচারের এ টাকা দিয়ে কী কিনেছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দরকার ছিল একটি বড় ফ্রিজ। সেটা কিনেই খুশি ছিলাম। তবে যেহেতু ১ লাখ টাকা পেয়েছি। তাই এটা দিয়ে আমাদের বড় পরিবারের জন্য ডবল ডবল জিনিস নিয়েছি। এর মধ্যে আছে ফ্রিজ, স্মার্ট টিভি, স্মার্টফোন ও গৃহস্থালীর পণ্যসহ মোট ১৬টি পণ্য।’

ইলেকট্রো ভিশনের ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বলেন, ‘মাসুম মিয়ার সাথে সাথে আমি নিজেও ভাগ্যবান। কারণ গত কয়েক দিনের মধ্যে আমার শোরুম থেকে দুইজন ক্রেতা ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। এতে কোম্পানির প্রচারের পাশাপাশি আমার শোরুমেরও প্রচার অনেক বেড়েছে। মোট কথা, এ ঘটনায় এলাকাতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এমনকি এরপর থেকে আমাদের শোরুমে বিক্রিও বেড়েছে।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়