ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টেক্সটাইল মেশিনারি আমদানিতে ১৩ কোটি টাকার দুর্নীতি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১০ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টেক্সটাইল মেশিনারি আমদানিতে ১৩ কোটি টাকার দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর একটি টেক্সটাইলে ১৩ কোটি টাকার ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিতে ব্যাপক অনিয়ম উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগ (সিভিএ)।

মঙ্গলবার নরসিংদীর নোয়াপাড়ার রাইনাদিতে মেসার্স এসএ টেক্সটাইল পরিদর্শনকালে মেশিন আমদানি ও স্থাপনে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পাশাপাশি সরকারের রেয়াতি সুবিধার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের (সিভিএ) কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মইনুল খান জানান, এই টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানের ক্যাপিটাল মেশিন আমদানির অন্তরালে বাণিজ্যিক জালিয়াতির সন্ধানে শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগ কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিভিএ সূত্রে জানা যায়, শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের একটি দল নরসিংদীর মেসার্স এসএ টেক্সটাইল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মেসার্স এসএ টেক্সটাইল  গত দুই বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মোট ১৫টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৮৬৮টি পাওয়ার লুম ও একটি বয়লার মেশিন এনেছে। এসব চালান চীন থেকে ৪৩টি কন্টেইনারযোগে আনা হয়। কিন্তু সিভিএর দল কর্তৃক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে পাওয়া যায় মাত্র ১০০ পাওয়ার লুম। এদের মধ্যে ২০টি চালু, ৪টি মেরামতের আওতায় এবং ৭৬টি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি মেশিনারিজের খোঁজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি। প্রতিষ্ঠান অবশিষ্ট ৭৬৮টি মেশিনের কোনো হিসাব দেখাতে পারেনি।

অন্যদিকে, স্থানীয় নরসিংদী ভ্যাট অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালন করা হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় যে, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রকৃতপক্ষে মেশিন আমদানি ও স্থাপনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। একই সঙ্গে তারা সরকারের রেয়াতি সুবিধার অপব্যবহার করেছে।

সূত্র আরো জানায়, অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১% শুল্ক দিয়ে ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির সুবিধা নিয়েছে। এই সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই পণ্য ছাড় করা হয়েছে। অথচ মেশিনগুলো কারখানায় প্রবেশ বা স্থাপন করানো হয়নি। এসব রেয়াতি সুবিধার আড়ালে অন্য কোনো শুল্কযোগ্য বা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ছাড় হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমদানি দলিল অনুযায়ী, আমদানিকৃত মেশিনারির মূল্য প্রায় ১১.৮০ কোটি টাকা। এগুলোর ঘোষণার ওপর শুল্ককরাদি ফাঁকি হয়েছে প্রায় ১.০৬ কোটি টাকা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়