ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাইজিংবিডি’র সম্মাননা পেলেন হরিশংকর জলদাস

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ৩১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাইজিংবিডি’র সম্মাননা পেলেন হরিশংকর জলদাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : মা দিবসে রাইজিংবিডির আয়োজন ‘মা’কে নিয়ে স্মৃতিগদ্য লিখে সম্মাননা পেলেন ঔপন্যাসিক হরিশঙ্কর জলদাশ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কস্থ প্রেসক্লাব ভবনে সাহিত্য আড্ডার কেন্দ্র ‘বাতিঘর’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে হরিশঙ্কর জলদাশের হাতে রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কারের নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাইজিংবিডির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মো. রেজাউল করিম।

এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ‘প্রথম আলো’র চট্টগ্রামের প্রধান ও যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক বাদল সৈয়দ, কবি পুলক পাল, জীবনশিল্পী রঘুনাথ চৌধুরী, হরিশঙ্কর জলদাশের স্ত্রী সুনীতি জলদাশ, মেরিন প্রকৌশলী সুবীর দেব প্রমুখ।

সম্মাননা পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় লেখক হরিশঙ্কর জলদাশ বলেন, পুরস্কার বা সম্মাননা হচ্ছে স্বীকৃতি। এই স্বীকৃত সবসময় মানুষকে আনন্দিত করে। আনন্দের পাশাপাশি একটা দায়িত্বের বিষয় কাজ করে তা হলো যে কাজের জন্য স্বীকৃতি মিলেছে, সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।


নিজের মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে হরিশঙ্কর জলদাশ বলেন, ‘‘আমি জেলে পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার মা মাটির সঙ্গে লাগোয়া একজন মানুষ ছিলেন। লেখাপড়া তিনি জানতেন না। তিনি স্বামী-সন্তান কিংবা শ্বশুর-শাশুড়িকে কী করে রেঁধে খাওয়াবেন, সেই চিন্তায় থাকতেন। এমন একটি পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি উঠে এসেছি। আমার মায়ের যে মহানুভবতা ছিল, সন্তান ধারণ করবার অসাধারণ স্বর্গীয় এক প্রতিভা ছিল, সেই প্রতিভা থেকেই হয়ত আমি বেরিয়ে এসেছি। আজ পুরস্কার পেয়ে আমার যার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল তিনি আমার মা। যদিও তিনি এখন বেঁচে নেই।’’

রাইজিংবিডি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হরিশঙ্কর জলদাশ বলেন, ‘‘আমি আমার মাকে দিতে পারিনি কিছুই। সেই মহিয়ষী মা’কে নিয়ে যে আমি লিখতে পেরেছি এবং সেই লেখা আপনারা যে প্রকাশ করে দেশে-বিদেশে বিপুল সংখ্যক পাঠককে লেখাটি পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, এর জন্য আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’’

লেখক হরিশঙ্কর জলদাশ ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রামের সমুদ্রপারের একটি জেলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি তিনি ৪৪ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন। গল্প, আত্মজীবনী, উপন্যাসসহ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টি। মূলত দলিত সমাজের লেখক তিনি। দলিতদের নিয়েই লেখেন বেশি। লেখার ক্ষেত্রে তিনি লুকোচুরি কিংবা রাখঢাক করেন না। তার লেখায় জেলে, মেথর, বারবনিতা, ধোপা, নাপিত, ভিক্ষুক, মুচি, কামার-কুমার ইত্যাদি সম্প্রদায় ফিরে আসে।

হরিশঙ্কর জলদাশের ‘দহনকাল’ উপন্যাসটি প্রথম আলোর বর্ষসেরা বই হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। ২০১১ সালে তিনি ড. রশীদ আল ফারুকী সম্মাননা স্মারক পুরস্কারে ভূষিত হন।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৩১ মে ২০১৮/রেজাউল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়