ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এবারও এশিয়ার বৃহৎ পূজাটি হচ্ছে শিকদারবাড়িতে

ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এবারও এশিয়ার বৃহৎ পূজাটি হচ্ছে শিকদারবাড়িতে

ফাইল ছবি

ঝুমকি বসু : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গত ৮ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। দেবীদুর্গা এই বছর ঘোটকে আসছেন আর গমন করবেন দোলায়।

পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার আয়োজন শুরু হয়েছে ১৫ অক্টোবর ষষ্টিপূজার মাধ্যমে, শেষ হবে ১৯ অক্টোবর দশমীপূজার মধ্য দিয়ে।

গত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তি উদ্যোগে এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাংলাদেশের বাগেরহাটে। বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের শিকদারবাড়িতে প্রতি বছরের মতো এবারেও চলছে সেই আয়োজন। বাগেরহাটে দুর্গা উৎসব মানেই এখন শিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা। গত আট বছর ধরে বিশিষ্ট শিল্পপতি লিটন শিকদার মহাধুমধামে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন। দিন দিন সেখানে প্রতিমার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালে ১৫১টি প্রতিমা নিয়ে এখানে দুর্গাদেবীর আরাধনা শুরু হয়। গত বছর ছিল ৬৫১টি প্রতিমা। এ বছর এই মণ্ডপে ৭০১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।

পূজার আয়োজক ডা. দুলাল শিকদার এবং তার ব্যবসায়ী ছেলে লিটন শিকদারের দাবি, প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং এশিয়ার সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ।

প্রতিমাশিল্পী বিজয়কৃষ্ণ বাছাড় বলেন, ‘এখানে রামায়ন ও মহাভারতের বিভিন্ন দেবদেবীর নানা কাহিনি অবলম্বন করে প্রতিমা তৈরি করা হয়। বৈশাখ মাসের ৮ তারিখ থেকে ১৬ জন কারিগর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে পুকুরের মাঝখানে ৪০ ফুট উঁচু ভাসমান মন্দির। সেখানে সবার উপরে থাকবেন শিব ঠাকুর। এরপর রামকৃষ্ণ পরমাংসদেব ও সারদা দেবী। আরো থাকবেন স্বামী বিবেকানন্দ।’

বাগেরহাট পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায় বলেন, বাগেরহাটের দুর্গাপূজা মানেই হাকিমপুর গ্রামের শিকদারবাড়ির দুর্গাপূজা। শিকদারবাড়ির পূজাটি আকর্ষণীয় হওয়ায় এখানে দর্শণার্থীদের বিপুল সমাগম ঘটে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মহাআড়ম্বর পূর্ণ হবে আমাদের অনুষ্ঠান। এ উৎসবে বাগেরহাটের সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে আনন্দ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দেশের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের আয়োজক ব্যবসায়ী লিটন শিকদার বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই দেশ-বিদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দর্শনার্থীদের মন জয় করতে এই দুর্গামণ্ডপে প্রতিমার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমার জানা মতে, শুধু দেশেই নয়- এটি প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ -এ কথা জানিয়ে এই ব্যবসায়ী তার বাড়িতে এবারো শারদীয় দুর্গোৎসবে শামিল হতে দেশ-বিদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মের দর্শনার্থীদের আমন্ত্রণ জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়