ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আজও চালকদের মুখে দেওয়া হচ্ছে পোড়া মবিল

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আজও চালকদের মুখে দেওয়া হচ্ছে পোড়া মবিল

সোমবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে পোস্তাগলা ব্রিজের নীচে চালকের মুখে মাখিয়ে দেওয়া হয় পোড়া মবিল (ছবি : শাহীন ভুঁইয়া)

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে চলছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। প্রাইভেট বা কোম্পানির গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কোনো গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে না। অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ব্যবহার করেও নিজেদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন অনেকে।

দুর্ভোগের শেষ নয় এখানেই। ধর্মঘটে মধ্যে রাস্তায় বের হওয়া প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল আরোহীদের থামিয়ে দিচ্ছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি চালক-যাত্রীদের মুখে পোড়া মবিল ও কালি মাখিয়ে দিচ্ছেন তারা।

শ্রমিকদের বাধা না মানলে কোনো কোনো স্থানে গাড়ি ও মোটরসাইকেল আটকে রাখা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের গাড়িতেও ঢেলে দেওয়া হচ্ছে পোড়া মবিল। কোথাও কোথাও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মুখে পোড়া মবিল ও কালি মাখিয়ে দিচ্ছেন তারা।
 


মুখে ‘কালি ও পোড়া মবিল’লাগিয়ে দেওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এসব ছবিতে দেখা যায়, কোনো কোনো গাড়ির ড্রাইভারের মুখে কালো কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারো মুখে আবার পোড়া মবিল মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, বিভিন্ন মডেলের দামি গাড়িতে ঢেলে দেওয়া হয়েছে পোড়া তেল। আজও সকাল থেকেই গণপরিবহন শ্রমিকদের রোষের মুখে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন।

আজ রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ঢাকার ভেতরে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি বাস ছাড়া অন্য কোম্পানির বাস চলাচল করেনি। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং অ্যাপসভিত্তিক উবার, পাঠাওসহ বিভিন্ন রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করেছে।

প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় সাজা কমিয়ে আইন সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে রোববার থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।এ সংগঠনের ডাকে পরিবহন শ্রমিকরা রোববার ভোর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
 


শ্রমিকদের আট দফা দাবিগুলো হলো-শ্রমিকরা যে আট দফা দাবি করছেন সেগুলো হলো- সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে, শ্রমিকদের অর্থদণ্ড ৫ লাখ টাকা করা যাবে না, সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করতে হবে, ওয়েস্কেলে (ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে, সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়