ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দখিনা বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ

এম জসিম উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দখিনা বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ

এম জসিম উদ্দিন: ‘আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা/ ফুল তুলিতে যাই/ ফুলের মালা গলায় দিয়ে/ মামার বাড়ি যাই/ ঝড়ের দিনে মামার দেশে/ আম কুড়াতে সুখ/ পাকা জামের মধুর রসে/ রঙিন করি মুখ।’

পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার এই পঙ্‌ক্তি বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণাঞ্চলের বাতাসেও ছড়িয়ে পড়েছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। কুয়াশা থাকায় প্রতি বছরের চেয়ে এবছর দেরিতে মুকুল ধরেছে গাছে। সাধারণত মাঘের শীত যখন কমতে শুরু করেছে ঠিক তখন এ অঞ্চলের আমগাছগুলোতে মুকুল ফুটতে শুরু করে। কোথাও কোথাও গুটিও দেখা দিয়েছে।

দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা। এই জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় শীতের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি কুয়াশাও কমছে। আমগাছে বের হতে শুরু করেছে সোনালী মুকুল। আর দখিনা বাতাসে আমের মুকুলের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। পরিচর্যা শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুকুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এ বছর দিগুণ বেশি। এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি আম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুকুল টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছেন তারা।



উপজেলার সদর ইউনিয়নের আম চাষি মো. আব্দুল জব্বার, সোনামিয়া, ইসমাইল হোসেন জানান, আমের মুকুল আসার শুরু থেকেই তারা গাছের পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। শীতের শেষ সময় হঠাৎ করে কুয়াশার কারণে মুকুল কিছুটা ঝরে যেতে পারে। অবশিষ্ট মুকুল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, আরো আগে থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই চাষিরা গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও চাষিদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এবছর আবহাওয়া যে রকম যাচ্ছে এরকম যদি থাকে তবে আশা করা যাচ্ছে আমের প্রচুর ফলন হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়