ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আইলার ১০ বছর

লবণের গ্রাসে ঊষর জনপদ

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ২৮ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লবণের গ্রাসে ঊষর জনপদ

ঘরের পাশে লাগানো দুটো মরা কুমড়ো চারা তুলে এনে দেখাচ্ছিলেন মরিয়ম বিবি। বললেন, ‘ঘড়িলাল বাজার থেকে কয়েকটি তরতাজা চারা এনে লাগিয়েছিলাম। চারাগুলো এভাবে মরে গেল!’ আয়শা খাতুনের হাতে তিনটি মেটে আলু। দেখিয়ে বললেন, ‘চার মাসে একটুও বাড়েনি। যেভাবে লাগিয়েছিলাম সেভাবেই আছে। লবণে সব মরে যাচ্ছে। মাটিতে কোনকিছু লাগিয়ে বাঁচাতে পারি না। আমরা বাঁচবো কীভাবে?’

শখের লাউয়ের লতাটা এখন আর মাথা তোলে না। পাতা ছড়ানোর জন্য এখন আর মাচা খোঁজে না লাউ লতাগুলো। কুমড়ো ফুলের সমারোহে হলুদ হয় না গোলপাতায় ছাওয়া ঘরের চালা। সেই চিরচেনা ঝিঙ্গেফুল মিষ্টি রোদ নিয়ে আসে না শীতের সকাল। ঘাসের ডগায় জমে না শিশির বিন্দু। ছায়াঘেরা গ্রাম নেই। ভর দুপুরে ঘুঘু পাখির চেনা সুর নেই। বাড়িগুলোতে নেই গরু-মহিষের পাল। সেই মাঠ, বাড়ির সামনে খোলা উঠোন হারিয়ে গেছে। লবণের গ্রাস গিলেছে সবই। যে মাঠে ছিল সবুজের সমারোহ, চাষাবাদ হতো ধান-রবিশস্য, সে মাঠ বারো মাস ডুবে থাকে পানির তলায়। কৃষকের দিন ফুরিয়েছে। জীবিকায় এসেছে বৈচিত্র্য। কৃষি আবাদ করে টিকে থাকা মানুষগুলো ফিরেছেন অন্য পেশায়।

খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশী থেকে কাঠকাটা, আংটিহারা, গোলখালী, ঘড়িলালের পথে। প্রসিদ্ধ বাজার ঘড়িলালকেই ধরা হয় কয়রার শেষ সীমানা। সুন্দরবনের গা ঘেঁষে বয়ে চলা সাকবাড়িয়া নদীর তীর ধরে এঁকেবেঁকে চলে গেছে মাটির রাস্তা। এইসব জনপদে পায়ে হেঁটে চোখে পড়ে বিবর্ণ-বিধ্বস্ত রূপ। লবণ মাটিতে কোনো ফসল হয় না বলে মানুষের দুঃখ বেড়েছে। ছোট চাষিরা জিম্মী প্রভাবশালী চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। ২০০৯ সালের আইলা প্রলয়ের পর এসব এলাকায় চিংড়ি চাষাবাদ বিস্তৃত হয়েছে। ধান চাষীদের অনাগ্রহ সত্ত্বেও যারা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিলেন তাদের বোধহয় খানিকটা এগিয়েই দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আইলা। কারণ আইলা এনে দিয়েছে লবণ পানি। এখন আর জমিতে ধান আবাদ করা যাচ্ছে না বলে চিংড়ি চাষে জমি ছেড়ে দিচ্ছেন চাষিরা। আইলা পশ্চিম উপকূলে আঘাত করলেও সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে খুলনার দাকোপ, কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি। আর এই চারটি উপজেলার অনেক স্থানেই লবণের আগ্রাসন, সবুজহীন ঊষর জনপদ।

কাঠ কাটার রাস্তার ধারে ছোট্ট দোকান। ভর দুপুরে বাইরে রোদের তেজ। কিছু মানুষ ছায়ায় খানিক জিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ দোকানে চা হাতে, বিড়ি ফুঁকছেন। কারো হাতে কোদাল, মাথায় গামছা পেঁচানো। কেবল এসে বসেছেন কেউ কেউ। ঘামে ভেজা তামাটে শরীর। দেখেই বোঝা যায়- কাজ থেকে ফিরেছেন। মনে হলো এটা একটা আলাপের জায়গা-

কেমন আছেন আপনারা? জানতে চাই এদের কাছে।
এলাকার অবস্থা দেখেই তো বুঝতে পারছেন কেমন আছি! উত্তর আসে মানিক ফরাজীর কাছ থেকে।
কী কাজ করছেন?
চিংড়ির ঘেরে মাটির কাজ।

নিজেদের জমি জমা নেই?

ছিল, লবণে সব খেয়ে ফেলেছে। এখন চিংড়ি চাষে দিয়েছি।

কীভাবে চলছে? কাজকর্ম করে পোষায়? দিন চলে?

কীভাবে দিন চলবে স্যার? আইলা তো আমাদের শেষ করে দিলো। আইলার আগে ভালোই ছিলাম। নিজের জমি চাষাবাদ করে সংসারটা চালিয়ে নিতে পারতাম। এখন আর সে সুযোগ নেই। মানিক ফরাজীর কথার রেশ শেষ না হতেই পাশে বসে থাকা কৃষ্ণপদ সানা যোগ করেন, ঘূর্ণিঝড় আইলায় তো আমরা অনেক কিছু হারালাম। সরকার থেকে কিছুই পেলাম না। নিজের জমি থাকতেও আমরা এখন মজুর খাটি।

মানিক ফরাজী আর কৃষ্ণপদ সানার কথা শুনে মাথা নাড়েন মিজানুর রহমান। ক্ষোভ প্রকাশ করেন- কী অইবে আমাগো কতা লিখে? আইলায় কম তো আইলো না। আমরা তো কিছুই পেলাম না। এলাকার অবস্থারও তো বদল হয়নি। আমরা কেমন আছি, তা বুঝতে পারেন এলাকার দিকে তাকিয়েই।



সাপ্তাহিক হাটবারে ঘড়িলাল বাজারে মানুষের ভিড়। মাল বোঝাই, মানুষ বোঝাই ট্রলার এসে ভিড়ে বাজারের ঘাটে। বিধ্বস্ত রাস্তার ওপরে তাঁবু টাঙিয়ে হাট বসে রাস্তাজুড়ে। দোকানিরা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসেছেন। কাঁচাকলা, কাঁচা পেঁপে, ঢেঁড়স, কাঁচা মরিচ, গোল আলু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, কচু, কচুর লতি, বেগুন, কুমড়া- সবই এসেছে বাইরে থেকে। বোম্বাই মরিচ, বোম্বাই মরিচের চারাও এনেছেন কেউ কেউ বিক্রি করতে। বাজারের সবচেয়ে বড় হোটেলের মালিক কামরুল শিকদার খানিক দূরে নিজের বাড়ি থেকেই রান্না করে খাবার নিয়ে আসেন। তার হোটেলের খাবারের মূল্যও বেশ চড়া। বাইরে থেকে আসা সবজি-তরকারি কিনতে হয় বেশি দামে। আর এ কারণে হোটেলের খাবারের দামও বেশি- জানালেন কামরুল শিকদার। শুধু কামরুল সিকদার নয়, এই বাজারের আরও অনেকের সঙ্গেই আলাপ হয়। তারা জানালেন, চালডাল থেকে শুরু করে সবকিছুই আমাদের কিনে খেতে হয়। লবণের গ্রাসে বাড়িতে কিছুই ফলাতে পারি না।

খুলনার কয়রা আর সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সীমানা দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন। ঘড়িলাল বাজার থেকে কপোতাক্ষ পাড় হলেই ওপারে শ্যামনগরের গাবুরা। আইলা এই গাবুরাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। গাবুরায় লবণের আগ্রাসন ঠিক কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী, ঘড়িলাল, কিংবা কাঠকাটার মতোই। আইলার আগে গাবুরার পারশেমারী, চাঁদনিমুখার বাঁধের ধারে ছায়াঘেরা যে সবুজ ছিল, তা এখন আর নেই। ফসলি মাঠ, যেখানে বছরে দু’বার ধান ফলাতেন চাষিরা, সে জমি এখন পানির তলায়। বিলের পর বিল চিংড়ি ঘের। এলাকার ছোট চাষিরা পুঁজি খাটিয়ে ঘের করতে না পারায় বাইরের দাপটশালী ঘের মালিকেরা ঘরে তোলে সাদা সোনার ফসল। বাড়ে তাদের অর্থকড়ি। আবার নতুন ঘেরের মালিক হন তারা। গাবুরার চাঁদনিমূখার মানুষের মুখেই শোনা গেল, এখানে সেই আগের অবস্থা আর নেই। ফসল বলতে গেলে প্রায় সবই হারিয়ে গেছে। চাষের জমি নেই বললেই চলে। এমনকি বাড়ির ভিটেয় কিছু লাগালে তাতেও ফসল হয় না। চাঁদনিমূখা বাজার থেকে খানিক পশ্চিম দিকে গিয়ে খালের পার ধরে চলে গেছে সরু ইট বিছানো রাস্তা। এই রাস্তার পাশেই খান বাড়ি। বাড়ির সামনে একটি দোকান। এই খান বাড়ির পেছনে ছিল বিশাল ফসলি মাঠ। এখন সে জমি পানির তলায়। এই বাড়ির তরুণ কলেজ ছাত্র খান আবু হাসান দশ বছর আগের স্মৃতি মনে করে এখনকার সময়ের সঙ্গে কিছুতেই মেলাতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে করতে যখন বাড়ির পেছনে যেতেন, তখন দেখতেন সবুজে ঘেরা খোলা মাঠ। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আবার খেলেছেন সেই মাঠেই। কীভাবে যে সেই সাজানো গোছানো ফসলি মাঠ পানির তলায় ডুবলো ভাবতেও পারেন না হাসান।

দশ বছর আগে থেকে এখন কী পার্থক্য চোখে পড়ে? জানতে চাই হাসানের কাছে।

পুরোপুরিই বদলে গেছে গাবুরা। দশ বছর আগের সঙ্গে এখানকার কোনকিছু মিলে না। জবাব দেন হাসান। 

এখানকার মানুষ এখন কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন?

কেউ মাছের ব্যবসা করে, ঘেরে কাজ করে, কেউ মাছ ধরে, অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।

আগে এরা কী করতেন?

এখানকার প্রায় সকলেই আগে ধান আবাদ করতো। নিজের না থাকলেও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতো। ভালোই চলতো তখন। এখন সবই এলোমেলো।

আলাপ প্রসঙ্গে খান আবু হাসান তুলে ধরেন তারই চাচা মাহফুজুল আলম খোকনের কথা। তিনি অন্যের জমি চাষাবাদ করে বেশ ভালোই ছিলেন। প্রতি বছর সাড়ে ৫ বিঘার মত জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করতেন। বছরে দু’বার ধান ফলাতেন। তিন সদস্যের পরিবার বেশ ভালোই চলে যেত। কিন্তু এখন তার জীবিকার ধরণ পুরোপুরি বদলে গেছে। জমিতে ধান চাষের বদলে এখন ছোট নেট জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরেন। এভাবে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। একই গ্রামের আরেকজন রবিউল ইসলামও আইলার আগে ধানের আবাদ করতেন। নিজের জমি না থাকলেও অন্যের কাছ থেকে ৭-৮ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করতেন। তাতে ভালোই চলছিলেন। আইলার পরে তিনি শুরু করেন মাছের ব্যবসা। আবার কখনো যাত্রীবাহী মোটর বাইক চালান। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন। আবু হাসান বলেন, আইলার আগে এলাকার সব মানুষ বেশ ভালোভাবেই দিনযাপন করতে পেরেছেন। আইলা আমাদের অন্তত ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ১০ বছর সামনে এলাম। কিন্তু এই সময়ে বিশেষ কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয় না। বরং ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।



শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ, হরিনগর, কালিঞ্চি, কৈখালী, ভেটখালীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মরুময় এক বিবর্ণ প্রকৃতি চোখে পড়ে। মাঠের পর মাঠ চিংড়ি চাষ। বড় চিংড়ি চাষি কিংবা চিংড়ি ঘের মালিকেরা মোটা অঙ্কের পূঁজি খাটিয়ে লাভ করতে পারলেও ছোট চাষিদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না। তারা আবার ধানও আবাদ করতে পারছেন না। আশপাশের জমিতে চিংড়ি চাষ হলে মাঝখানে ছোট একখণ্ড জমিতে ধান আবাদ সম্ভব নয়। এ কারণে নিজেরাই ছোট আকারে চিংড়ি ঘের করেন, অথবা বড় ঘের মালিকদের কাছে জমি বন্ধক রাখেন। যেমনটা ভেটখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ বর্মন। তার নিজের এক বিঘা জমি রয়েছে। এ জমিতে আমন আবাদ করতেন। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু চারপাশের জমি যখন ঘেরে চলে গেছে, তখন তাকেও চিংড়ি চাষে ঝুঁকতে হয়েছে। নিজেই ছোট আকারে ঘের করেছেন।

চাষবাস কেমন চলছে? জানতে চেয়েছিলাম শ্যামনগরের হরিনগর বাজারের চায়ের আড্ডায় বসে থাকা কৃষকদের কাছে।  কৃষি আবাদ তো এখন আর নেই। কৃষক আবুল হোসেনের জবাব।

কেন হচ্ছে না?

জমিতে লবণ জমে গেছে। পানির লবণ মাটিতে ঢুকে গেছে।

কীভাবে চলে আপনাদের?

এই তো এলাকায় টুকিটাকি কাজ করি। আবার বাইরের কাজে যাই। আইলার আগে আমরা বেশ ভালোই ছিলাম। এলাকায় কাজকর্ম করেই চলত। এখন জীবিকার তাগিদে বাইরে যেতে হয়।

ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রলয়ে উপকূলীয় ১১ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। এই চার উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, মহেশ্বরীপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়ন, দাকোপ উপজেলার সুতারখালি ও কামারখোলা ইউনিয়ন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। আইলার আঘাতে ৭৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ এবং ৩৬২ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি হিসেবে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৪ একর ফসলী জমি ক্ষতির মুখে পড়ে। এর মধ্যে দাকোপ, কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার প্রায় ১ লাখ একর জমি বছরদেড়েক জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। সব হারিয়ে মানুষগুলো তখন আশ্রয় নিয়েছিল আশপাশের বেড়িবাঁধে। ক্ষতিগ্রস্ত এইসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ স্থানে এখনও নাজুক বেড়িবাঁধ। অমাবশ্যার জোয়ারেই অনেক স্থান থেকে হু হু করে পানি ঢুকে পড়ে। লবণাক্ততার কারণে বহু চাষি ফিরতে পারেনি তার পুরানো পেশায়।

বছর ঘুরে আইলা প্রলয়ের এই দিনটি এলেই এলাকার মানুষের স্মৃতি ভাসে সেই ভয়াল চিত্র। সভা হয়। স্মরণ করা হয় আইলাকে। নাগরিক সমাজের কণ্ঠ জোরালো হয়। ওঠে বিভিন্ন দাবি। দশ বছর ধরে একই দাবি উত্থাপিত হলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু পরিষদ ও এনজিও সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে এবারও আয়োজন করা হয়েছিল আইলার ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, র‌্যালি ও আলোচনা সভার। সভা থেকে দাবি ওঠে ‘ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই।’ দাবি ওঠে নির্মাণ করতে হবে পরিকল্পিত টেকসই বেড়িবাঁধ। পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেলটার এবং উপজেলার সর্বত্র সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়। সাইক্লোন শেলটারগুলো নারী ও শিশু বান্ধব করার দাবি জানানো হয়। দাবি অনুযায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ হলে ফসলি মাঠে লবণ পানি ঢুকতে পারবে না। ফসলি মাঠে মাটিতে লবণের মাত্রা কমবে। বাড়বে কৃষি আবাদ। আবার হয়তো কৃষকরা ফিরে পাবেন সুদিন।  

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়