ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সহায়তা বাড়ান

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সহায়তা বাড়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭০তম সম্মেলনের প্ল্যানারি অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা স্কোভর্তসোভা এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে ১৯০টিরও বেশি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন। সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান গত ২২ মে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অর্জনকে আরো উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে এসডিজি অর্জনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের সম্পদ এবং তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করবে। মানুষের পুষ্টিমান উন্নয়নকে এসডিজি অর্জনের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ব সংস্থার অগ্রাধিকার তালিকায় পুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য তিনি আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ‘মিথ’কে ভুল প্রমাণিত করেছে। এ সময় তিনি স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।

শিশু মৃত্যু হারের অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ইনঅ্যাকটিভেটেড পোলিও ভ্যাকসিনসহ নতুন নতুন ভ্যাকসিনের স্বল্পতা দূরীকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বব্যাপী সবাই জানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের অঞ্চল। কিন্তু বাংলাদেশ আজ দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসাসকে অভিনন্দন জানিয়ে আগামীতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নতুন মহাপরিচালকের দক্ষতা ও প্রজ্ঞা বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে সংস্থার ভূমিকায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য বিদায়ী মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে গত ২০ মে জেনেভা যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি তিনি মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান, সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং এবং গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। আগামীতে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশেকে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, বিএমআরসির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস কে রায়, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় রয়েছেন। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়