ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে দেশে

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৬ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশাল আধুনিক সংযোজন হবে সুপার-স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

হাসপাতালটি চালু হলে দেশের চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে। দেশের মানুষ বাংলাদেশেই বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের ডা. মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল প্রকল্পের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন কমিটির (পিআইসি) সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ হাসপাতালটি বাস্তবায়নের জন্য ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল আন্ডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই হাসপাতালটি যাতে চালু করা যায় সে লক্ষ্যেই যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সভায় সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরীন আরাসুরাত আমিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম হাবিবুর রহমানসহ পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রতিনিধি, আইএমইডি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকে ১২ বিঘা জমির ওপর এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই বিশেষায়িত হাসপাতালে বিশেষায়িত ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গবেষণা করা হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে থাকবে লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিস সেন্টার, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার, ক্যান্সার সেন্টার, ম্যাটারনাল এবং চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ডেন্টাল সেন্টার, কারডিও ভাসকুলার/নিউরোসার্জারি সেন্টার, এনড্রোক্রনোলজি ডায়াবেটিস সেন্টার, রেসপাইরেটরি সেন্টার, জেরিআট্রিক (বয়স্কদের চিকিৎসা) সেন্টার, জয়েন্ট/স্পাইন কর্ড সেন্টার, হার্ট সেন্টার, বার্ন ইনজুরি সেন্টার, হেলথ স্ক্রিনিং সেন্টার, ইমারজেন্সি মেডিক্যাল সেন্টার, এমবুলেটরি সার্জারি সেন্টার এবং কিডনি মেশিন সেন্টার (হিমোডায়ালাইসিস সেন্টার) উল্লেখযোগ্য। এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র হবে এবং এখানে সব ধরণের গবেষণা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে।

বর্তমানে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হয় এই হাসপাতালটি নির্মিত হলে দেশেই সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। দেশে উন্নততর চিকিৎসা বিদ্যা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ এবং জনগণের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এই হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বাংলার আপামর জনসাধারণ যাতে দেশেই সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নামের প্রকল্পটি অনুমোদন দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়