রক্তনালীর রোগ নির্ণয়ের অভাবে মারা যাচ্ছে অনেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সঠিক সময়ে রক্তনালীর রোগ নির্ণয় না হওয়ায় ও যথাযথ চিকিৎসার আভাবে মারা যাচ্ছে অনেক রোগী। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে ভাসক্যুলার সার্জারি বিষয়ক এবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানেউরিজম (এএএ) এন্ড ভেনাস থ্রোম্ব এম্বোলিস (ভিটিই) বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসক্যুলার সার্জারি বিভাগের উদ্যোগে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ-এর ভাসক্যুলার এন্ড এন্ডোভাসক্যুলার ডিভিশনের প্রধান ডা. নজরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের পালমোনারি এন্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. রুমি আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডা. রকিবুল হাসান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘রক্তনালীর রোগ বিষয়ে যথযাথ সচেতনতার অভাব রয়েছে। রক্তনালীর রোগ নির্ণয়ের অভাবে রোগীও মারা যাচ্ছে। এবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানেউরিজম (এএএ) এ্যান্ড ভেনাস থ্রোম্ব এম্বোলিস (ভিটিই) বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তনালীর রোগসমূহের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালুর বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে।’
সেমিনারে ভাসক্যুলার সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানেউরিজম (এএএ) হলো তলপেটের প্রধান রক্তনালী রক্তচাপের কারণে বেলুনের মতো ফুলে ফেটে গিয়ে রোগী মারা যায়। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই এ রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো এ পদ্ধতি চালু হয়নি। বাংলাদেশে এ পদ্ধতি চালু হলে অনেক রোগীকেই বাঁচানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে ভেনাস থ্রোম্ব এম্বোলিস (ভিটিই) রোগটি পায়ের রক্তনালীতে দেখা যায়। রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে পা ফুলে যায় এবং জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসে গিয়ে জমা হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় এবং রোগী মারা যায়। যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমেই এ ধরণের রোগীদের অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জানুয়ারি ২০১৮/সাওন/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন