ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘হ্যালো আব্বা... এর বেশি বলা সেদিন সম্ভব ছিল না’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘হ্যালো আব্বা... এর বেশি বলা সেদিন সম্ভব ছিল না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন খবর পাই তিনি বেঁচে আছেন সেই মুহূর্তটা আমাদের জন্য যে কি ছিল সেটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমরা ফোনে কথা বলতে পারিনি। শুধু ওই হ্যালো আব্বা; এর বেশি আর কোন কথা বলা সম্ভব ছিল না।

১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা এই স্মৃতিচারণ করেন।

একাত্তরের ভয়াল দিনগুলোতে বন্দি জীবনের কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখনো মনে পড়ে ৮ তারিখে তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুক্তি পেয়েছিলেন। আমরা খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমরা জানতাম না, তিনি বেঁচে আছেন না মারা গেছেন। কারণ, আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করার পরবর্তী সময়ে আমার মাকেও গ্রেফতার করা হয়। সে সময় জামাল, রেহানা, রাসেল, ভাবী আমরা সকলেই বন্দি হই। ১৮ নম্বরের একটি বাড়িতে আমাদের বন্দি করে রাখা হয়। আমরা তখন কোন খবরই জানি না তিনি (বঙ্গবন্ধু) বেঁচে আছেন না মারা গেছেন? কি অবস্থায় আছেন?

৮ তারিখে যখন লন্ডন থেকে প্রথম টেলিফোন আসে এবং বিবিসিতে যখন খবর পাই সেই মুহূর্তটা যে আমাদের জন্য কি ছিল সেটা আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমরা ফোনে কথা বলতে পারিনি। শুধু ওই হ্যালো, আব্বা... এই টুকুর বেশি কোন কথা বলা আর সম্ভব ছিল না আমাদের পক্ষে। এমনি এক অবস্থা আমাদের ছিল; তখন শুধু অপেক্ষার পালা কখন তিনি ফিরে আসবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ১০ তারিখে ফিরে এলেন। ফিরে এসে কাদের কাছে গেলেন, তার প্রিয় জনগণের কাছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ফিরে আসার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল। তার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ আশা আকাঙ্খা নিয়ে বসে ছিল। কি হবে? তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পাবে কি না? আর সেই আশা-আকাঙ্খা যখন বাস্তবে রূপ নিলো এবং সেই পূর্ণতা পেল।

যুদ্ধবিধস্ত ভুখ-কে একটি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইন কানুন, নীতিমালা-বিধিমালা সব কিছু তৈরি করা একটা কঠিন কাজ ছিল। আর সেটা তিনি সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দিয়ে গেছেন। তিনি মাত্র ১০ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।’

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস বর্বরতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এদেরকে আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার সাহায্য করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রামের পর গ্রাম চিনিয়ে নিয়ে গিয়ে গণহত্যায় সহযোগিতা করে।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন দেশের এগিয়ে চলার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নৌকায় করে রিলিফ সামগ্রী নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে গিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। মানুষের পাশে আন্তরিকতার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। তারপরও চক্রান্তের শেষ হয়নি। যারা স্বাধীনতায় সমর্থন করেনি, যারা দেশের ভেতরে এবং বিদেশে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী ছিল তাদের চক্রান্ত অব্যাহতই ছিলো।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে যখন একটা স্বস্তি ফিরে এসেছে, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতার মধ্যে চলে এসেছে, অর্থনীতি ধীরে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে প্রবৃব্ধির সাত ভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আঘাত হানা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো বিশ্বাস করতে পারেননি বাংলাদেশের মানুষ তার উপর আঘাত হানতে পারে। আন্তর্জাতিক অনেক নেতৃবৃন্দও জাতির পিতাকে সাবধান করেছিলেন। অনেক খবরই আসত কিন্তু তিনি বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু সেই বিশ্বাস রাখতে পারেননি। কারণ, মীরজাফরের বংশধর, মোশতাকের মতো গাদ্দার; এই মাটিতে তো জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মাটি এতো উর্বর, যেটা জাতির পিতার নিজের কথা। এই উর্বর মাটি যেমন ফসল জন্ম দেয় তেমনি অগাছারও জন্ম দেয়। জাতির পিতা সবসময় এই কথাটা বলতেন। তাই যখনি বাংলাদেশের মানুষ একটু সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছিল তখনি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটলো। এই হত্যাকা-ের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের কবর রচনা হয়। আর স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে নিয়ে প্রথমে মোশতাক আসেন। পরে মোশতাককে সরিয়ে দিয়ে আসেন জেনারেল জিয়া। এই মিলিটারি ডিকটেটর আবার ক্ষমতা দখল করেন। বাংলাদেশের জনগণ আবার অন্ধকারে হারিয়ে যায়। আর জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। ইতিহাস বিকৃত করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় গাথাকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়। বাংলাদেশের মানুষকে একটা বিভ্রান্তির বেড়াজালে নিয়ে আসা হয়। প্রতি রাতে কারফিউ দিয়ে মানুষের স¦াধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকারটুকুও হরণ করা হয়।

একদিকে প্রচার করা হয়, বহুদলীয় গণতন্ত্র দেওয়া হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে কি? সংবিধানে ১২ অনুচ্ছেদে যাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তাদেরকে মার্শাল’ল অডিন্যান্সের মাধ্যমে বিলুপ্ত করে তাদের রাজনীতি করে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, অনেকে সাজাপ্রাপ্ত ছিল, অনেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় নেয়, সেই তারা আবার ফিরে এসে বাংলার মাটিতে রাজনীতি শুরু করে। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ৩৮নং অনুচ্ছেদের আংশিক সংশোধন করে তাদের ভোটের অধিকার পর্যন্ত ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তখন বাংলাদেশের মাটিতে ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর এবং গণহত্যাকারীরা সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। গণতন্ত্রের নামে একটা প্রহসন শুরু হয়। বাঙালি জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিছু কিছু লোক সেটাকেই মেনে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। কিন্তু একবার গভীরভাবে ভেবে দেখেনি যে, জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে যুদ্ধাপরাধীদের পুর্নবাসন করা, জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া। আর যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। এটা জনগণের গণতন্ত্র নয়। এটা যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন মাত্র। একারণে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যে সম্মান পেয়েছিল সেই সম্মান ভুলুণ্ঠিত হয়ে যায়।

২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বাংলার জনগণ প্রথম উপলব্ধি করে যে, এই সরকার জনগণের সেবক। জনগণের কল্যাণেই কাজ করে। জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেমন আমরা করেছি তেমনি জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করতে অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল তা সংসদে বাতিল করে দিয়ে খুনীদের বিচার করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ থেকে ২০০১; মূলত বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূণতা অর্জন করে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ২০০১ সালে আবার আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ আবার পিছন দিকেই চলতে থাকে।’

এসময় ক্ষমতায় বসে কারা ? এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ওই আলবদর রাজাকার প্রধানরা; যারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, হানাদার বাহিনীর দোসর। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত তাদের হাত! তারাই বসে ক্ষমতায়। তারাই হয় মন্ত্রী। তারাই হয় ক্ষমতার হর্তাকর্তা।’

বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫থেকে ৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর হারিয়ে যায়। এরপর আবার ২০০১ থেকে ২০০৮। ২০০৮’র নির্বাচনে আবার আমরা সরকার গঠন করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে সেই বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক অবস্থাকে আবার উন্নত করা, জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ শুরু করি। যার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করে।’

বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা কারা করতে পারে ? ওই হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী করেছিল? তারা বস্তিতে আগুন দিতো। ওখান থেকে মানুষ বের হতে গেলে গুলি করে হত্যা করতো। ঠিক একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালের পর থেকে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও ওই একই রূপ দেখেছি? কিভাবে তারা মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরা জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। জনগণের মঙ্গল করতে পারে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথমবার ৫ বছর, এরপরে আজকে মোট নয় বছর; এই নয় বছরে দেশের যে উন্নতি করেছি, তা ২১ বছর এবং পরবর্তী ৭ বছর অর্থ্যাৎ ২৮ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা করতে পারেনি। তারা কেন দেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করতে পারেনি? তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এদেশের স্বাধীন মানুষ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক- এটা তারা কোনদিনও চায়নি। কারণ, তাদের হৃদয়ে ছিল পেয়ারে পাকিস্তান। ওই পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তারা পাকিস্তানের গোলামী করতেই পছন্দ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, দেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়। দেশের মানুষ অথনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়।’

বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব সভায় মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ করা, উন্নয়ন করা, বাংলাদেশের মানুষকে সার্বিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা- এটাই আমাদের লক্ষ্যে। আজকে জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আদর্শ আছে।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনে জাতির পিতার প্রতি আমরা সেই ওয়াদা দিচ্ছি, পিতার কাছে আমরা কথা দিলাম বাংলাদশকে তার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে ইনশাল্লাহ গড়ে তুলবো।

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বদরবারে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। সেই দেশ আমরা গঠন করবো এই ওয়াদা জাতির পিতার কাছে...।’ তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের কাজকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং।

সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা ছাড়াও সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৮/নৃপেন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়