ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে ৭৯৯ মৃত্যু হয়েছে

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে ৭৯৯ মৃত্যু হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত হয়। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৭২১ জন। তাদের মধ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৯৯ জন এবং জীবিত আছেন ৩৯২২ জন।

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের (ঢাকা-১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশকে এইডসমুক্ত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ রোগে সংক্রমণের হার মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, দেশে ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬২ কোটি ভিজিটের মাধ্যমে জনগণ সেবা গ্রহণ করেছেন। ১ হাজার ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব হচ্ছে। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৩৮টি স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে প্রথম সারির অধিক গুনগত মানসম্পন্ন ৩০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করে এবং বাকি ১০ ভাগ ওষুধ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০১৭ সালে ১৪২টি দেশে ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। হাম রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাস থেকে ১৫ বছরের নিচের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা এবং ০-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ ডোজ বিওপিভি টিকা প্রদান করা হয়। ১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সকল শিশুকে ১ ডোজ কলেরার টিকা খাওয়ানো হয়।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের ১৮ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের সকল টিকা (বিসিজি, বিওপিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর) ইপিআই টিকাদান সময়সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া রোহিঙ্গাশিবিরে জম্ম নেওয়া নবজাতকের জন্ম নিবন্ধনের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে।    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এবং  ইউএনএইচসিআর  নামক  সহযোগী  সংস্থা  সরকারের  জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়