ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা হবে

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা হবে। এজন্য অপুষ্টি ও লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়গুলো মোকাবিলা করার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘এগ্রিকালচার, নিউট্রিশন অ্যান্ড জেন্ডার লিংকেজ (এনজেল) রেজাল্টস ডিসিমিনেশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নারী ক্ষমতায়িত হওয়ায় আয়ের নিয়ন্ত্রক হচ্ছে, সম্পত্তির মালিকানায় এবং উৎপাদনে তারা ভূমিকা রাখছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কৃষিসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীরা ক্ষমতায়িত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তারা পরিবারের খাদ্য ব্যবস্থার প্রধান অস্তিত্ব। তাই নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার কারণে মায়েরা কোন খাবারে কী পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারছে এবং তাদের পরিবারকে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জলবায়ুনির্ভর কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং এই লিঙ্কগুলোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আমরা যদি লক্ষ্য রাখি, তাহলে কৃষি হলো একটি আদর্শ বিন্দু। সরকার বিভিন্ন সময় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হয়ে উঠেছে।

কৃষি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তার মূল চালিকাশক্তি। বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষিতে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং অনুকূল কৃষকবান্ধব কৃষিনীতির কারণে খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক, উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহারকে শক্তিশালী করেছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ চাল রপ্তানিতেও দেশ ভূমিকা রেখেছে।

ইউএসএইড ও বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি সাপোর্ট প্রোগ্রাম ও আইএফপিআরআই’র আয়োজনে আপসুর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের (আপসু) গবেষণা পরিচালক ও এনজেল-এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম বক্তব্য রাখেন। আইএফপিআরআই-পিআরএসএসপি’র প্রধান ড. আক্তার আহমেদ এনজেলের ফলাফলপত্র উপস্থাপন করেন।

এতে বলা হয়, দেশের ১৬টি উপজেলার ৩ হাজার ১২৫ জন দম্পতিকে পুষ্টি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে পারস্পরিক ভাব আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে পরিবার এবং ঘরের বাইরে সচেতনতার সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিবেশীদের খাদ্যে পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় এনজেল প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিট (আপসু), বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ফর এপ্লাইড নিউট্রেশন (বিরটান), বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিরি) এবং ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন (ডিএই) এনজেল প্রকল্পে সহযোগিতা করে আসছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৮/নঈমুদ্দীন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়