ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫২, ২৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোনা-৫) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গেপ্তার করা হয়েছে। ৩ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৬১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চলতি মে ও জুন মাসে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলায় ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মহাপরিচালক, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ভারতের সাথে পাঁচটি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতে অবস্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধিদের কাছে দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করা ও ঢেলে সাজানোর জন্য অধিদপ্তরের জনবল ১ হাজার ৭০৬ জন থেকে ৮ হাজার ৫০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এ পর্যন্ত পুলিশ বিভাগের আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০৬টি জিপ, ১ হাজার ১৮৫টি পিকআপ, ৪ হাজার ২৫১টি মোটরসাইকেল, ৬৪টি মাইক্রোবাস, ২৯টি রেকার, ১০টি এপিসি, ৭৮টি কান্ট্রি বোট, ২৩টি স্পিড বোট, ১০টি পেট্রোল বোট, ৬৯টি ঘোড়া এবং ২৬টি বিদেশী প্রশিক্ষিত কুকুর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪৫ হাজার ৪৩৪টি নতুন পদও সৃজন করা হয়েছে।

দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী, বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তারক্ষী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, আনসার, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সার্বক্ষণিক ডিউটি করছে। নিরাপত্তার জন্য ২৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০০ জন বিমানবাহিনীর সদস্য, ৮৭ জন পুলিশ এবং ৫০ জন আনসার রয়েছে। এছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুন ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়