ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘দায়িত্বে অবহলো সহ্য করা হবে না’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দায়িত্বে অবহলো সহ্য করা হবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কাজ কর্মে ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা সহ্য করা হবে না বলে কর্মকর্তা কর্মচারিদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দেশের সকল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন।

মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দূর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হলে জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বের ওপর তার দায় বর্তাবে। হাসপাতাল বা জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বে যে কর্মকর্তাই থাকবেন তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তত্ত্বাবধান করা। এই দায়িত্বে কোনো প্রকার গাফলতি কিংবা শৈথিল্য মেনে নেওয়া যাবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, যে কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি যদি ব্যর্থ হন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে একটি স্বচ্ছ্ব ও জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে প্রতিদিনের নজরদারি আরো কঠোর করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারি সময় মতো হাজির হচ্ছে কিনা, যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, ঔষধের অপ্রতুলতা আছে কি না, পরিচ্ছ্ন্নতা অভিযান সার্বক্ষণিক চলছে কি না তা তদারকির জন্য মনিটরিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দূর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করা হবে- জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মূল অবদান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। সারা দেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্যখাতের এই সেবা পেয়ে থাকে কোটি কোটি মানুষ। একটা সরকারের সুনাম অনেকাংশে নির্ভর করে স্বাস্থ্যসেবার ওপর। সাধারণ মানুষকে যথাযথ মানসম্মত চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি গণমানুষের আস্থা আরো বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো.  মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়করা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক আছে কি না তা দেখার পাশাপাশি রোগীরা তাদের প্রাপ্য সেবা যথাযথভাবে পাচ্ছে কি না তাও তদারকি করার মূল ব্যক্তি হাসপাতাল প্রধান বা সিভিল সার্জন ও পরিচালকগণ।

তিনি বলেন, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এই দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিনি সকলকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৯/নঈমুদ্দীন/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়