দেশে প্রথমবারের মতো থ্যালাসেমিয়ার ওষুধ উৎপাদন করবে জুলফার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে প্রথমবারের মতো থ্যালাসেমিয়ার ওষুধ উৎপাদন করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জুলফারের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি বলেন, আজকের এই আরব আমিরাতের পিছনে বাংলাদেশের জনগণেরও অনেক অবদান রয়েছে। আমি মনে করি, জুলফার আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের জন্যও ভালো কিছু করতে পারবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলফার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম সোলায়মান বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে থাকার অংশ হিসেবে আমরা বাংলদেশে প্রথমবারের মতো আয়রন চিলেটর হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ ডেফেরাসিরক্স চিলোভা উৎপাদন শুরু করেছি।

সেমিনারে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও তাদের অবিভাবক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি এবং জুলফারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে থ্যালাসেমিয়া, এর প্রকোপ, প্রতিকার এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

গত ১১ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জুলফার বাংলাদেশ আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এসব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, থ্যালাসেমিয়া রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা-মা থেকে সন্তান এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির জরিপ মতে, দেশে ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন-ই বাহক। প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৯/হাসান/রফিক