ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঋতুকালীন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ৩৬ ভাগ স্কুলে

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০০, ২৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঋতুকালীন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ৩৬ ভাগ স্কুলে

সচিবালয় প্রতিবেদক :  সারা দেশের ৩৬ ভাগ স্কুলে শিক্ষার্থীদের ঋতুকালীন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালে ৬ ভাগ স্কুলে এ শিক্ষা দেওয়া হতো। আর ২০১৮ সালে ৩৬ ভাগ ঋতুকালীন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী মাসিক স্বাস্থ্য (ঋতুসংক্রান্ত) বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং উন্নত মাসিক ব্যবস্থাপনার সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২৮ মে ‘মাসিক স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার সকালে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং এমএইচএম প্লাটফর্ম যৌথভাবে কাকরাইলস্থ জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, ঋতুসংক্রান্ত বিষয়টি শুধু মেয়েদের বোঝালেই হবে না, এটা নিয়ে ছেলেদের সঙ্গেও কথা বলা সমান জরুরি। এটা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, তাই এটা নিয়ে লুকোচুরি বা গোপনীয়তার কিছু নাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস. এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব বেগম রোকসানা কাদের, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মায়া বেন্জামিন্ট, প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রাহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিত্রটি তুলে ধরেন।

এই বছরের মাসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘মাসিক ব্যবস্থাপনায় সচেতন হই, আজই এখনই’ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রাহমান জানান, আমরা কাজ করছি এসডিজি ৩, ৫ এবং ৬ নিয়ে। আগে আমারা দেখতাম ৩০-৪০ ভাগ ছাত্রীরা মাসিকের সময় স্কুলে অনুপস্থিত থাকতো। এখন এ হার আরো অনেক কমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একটি নারীবান্ধব সরকার। সরকার তাদের অন্যান্য অগ্রগতির পাশাপাশি নারীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়ির সচিব এস. এম গোলাম ফারুক বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে এখন ৩২ হাজার ওয়াশব্লক আছে। সরকারের ভিশন হচ্ছে ছেলে-মেয়ে এক সঙ্গে এগিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই মাসিক পণ্য বিশেষ করে স্যানিটারি প্যাড বাজারে সুলভ করা দরকার যাতে সকল স্তরের নারীরা তা ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া আমাদের একটি কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে যাতে মাসিক নিয়ে সর্বস্তরের অংশগ্রহণে কাজ করা যায়।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এ অনুষ্ঠানে আসার আগে মাসিক নিয়ে কোনো কথা বলিনি এবং এখানে এসে আমার সবচেয়ে যে উপকার হয়েছে তা হলো মাসিক নিয়ে কথা বলতে যে অস্বস্থি ছিল তা কেটেছে। সরকার নারীদের কল্যাণে কাজ করছে এবং সরকার চায় নারীরা সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যায়। সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তারা ময়লা কাপড় ব্যবহার করে যা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝঁকিপূর্ণ। তাই সুলভ মূল্যে প্যাডের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সকলেই ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশের ৫০ ভাগ নারী। কাজেই তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। কারণ যাদি তাদের সুস্বাস্থ্য না থাকে তবে আমরা উন্নত বিশ্ব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব না।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৯/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়