রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে এস্তোনিয়ায় ব্রিটিশ সেনা
শুক্রবার এস্তোনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ব্রিটিশ সেনারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার যেকোনো ধরনের আগ্রাসন রুখতে বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়ায় প্রথম দফায় সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাজ্য।
এস্তোনিয়ায় ৮০০ সেনা মোতায়েনের কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। প্রথম দফায় ১২০ সদস্যের সেনাদল পাঠিয়েছে তারা। মোতায়েনকৃত সেনারা এস্তোনিয়ায় একটি সদর দপ্তর স্থাপনের পর এপ্রিল মাসে বাকি সেনারা সেখানে যাবে।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করবে।
বাল্টিক রাষ্ট্রে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যুক্তরাজ্য। ন্যাটো জোটের পূর্ব সীমান্তে সহযোগিতার সম্পর্ক বাড়াতে চায় তারা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন বিবিসিকে বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিই যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চসংখ্যক সেনা মোতায়েন। রাশিয়াকে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এটি।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ারফোর্সের ভয়েজার এয়ারক্র্যাফটে ব্রিটিশ সেনারা এস্তোনিয়ার আমারি সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছায়।
ফ্যালন আরো বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন বৃদ্ধি এবং ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তের মিত্রদের নিশ্চয়তা দিতে সেনা মোতায়েন জরুরি ছিল। তবে মাইকেল ফ্যালন নিশ্চিত করেন, এটি প্রতিরক্ষামূলক সেনা মোতায়েন। এবং কোনো ধরনের উসকানি বা উত্তেজনা বাড়ানো তাদের উদ্দেশ্য নয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সেনারা জানিয়েছেন, হুমকির বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এ ছাড়া রাশিয়া এই সেনা মোতায়েন নিয়ে ভুল তথ্য, ভুয়া খবর এবং উসকানিমূলক তথ্য ছড়াতে পারে- এ বিষয়েও সজাগ রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
তবে মস্কো এরই মধ্যে সতর্কতা উচ্চারণ করেছে, তাদের সীমান্তে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন রাশিয়ার জন্য হুমকি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন