ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সাইবার অপরাধে দীর্ঘমেয়াদি সাজার রেকর্ড

আবীর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাইবার অপরাধে দীর্ঘমেয়াদি সাজার রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাইবার অপরাধে ২৭ বছর কারাদণ্ড। বিশ্বে এ ধরনের অপরাধের জন্য এটিই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাজার রেকর্ড।

অপরাধী যখন রাশিয়ার নাগরিক এবং বিচার যখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে, তখন সাজার বহর এত বেশি হওয়াতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সাইবার হামলার অভিযোগ নিয়ে যখন মার্কিন প্রশাসন নানা দিক থেকে নাস্তানাবুদ হচ্ছে, তখন এক রুশ হ্যাকারের এই সাজা বিশ্বের নজর কাড়বে- এটিই স্বাভাবিক।

আইনি ইতিহাসে সাইবার অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে দীর্ঘসময় সাজাপ্রাপ্ত হ্যাকারের নাম হলো রোমান সেলেজনেভ।

আমেরিকার কেন্দ্রীয় আদালতের এক বিচারক শুক্রবার এ দণ্ডদেশ দেন। পাশাপাশি সেলেজনেভকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সেলেজনেভের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালে মালদ্বীপে বান্ধবীসহ গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

প্রায় ১৫ বছর ধরে সেলেজনেভ শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা  হ্যাক করেন। এ সময় প্রায় ২৯ লাখ ক্রেডিটকার্ডের নম্বর  চুরি করেন তিনি। তার এই কর্মকাণ্ডের ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি ডলার। মার্কিন উপ-কৌঁসুলি নর্ম্যান বার্বোসা বলেন, এই আদালতের ইতিহাসে এই পরিমাণ আর্থিক লোকসান নজিরবিহীন।

সেলেজনেভের বাবা ভালেরি একজন রাজনীতিবিদ এবং রুশ সংসদ সদস্য।

২০০১ সালে মরক্কোয় এক বিস্ফোরণে মাথায়  গুরুতর আঘাত পেয়ে কোমায় চলে যান সেলেজনেভ। পরবর্তীতে সুস্থ হলেও এখনও খিঁচুনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

দণ্ডাদেশ দেওয়ার আগে সেলেজনেভ মার্কিন জেলা জজ রিচার্ড এ. জোন্সকে লঘু দণ্ড দেওয়ার আবেদন করেন। তিনি কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন ও ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চান। বিস্ফোরণের কারণে শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে দণ্ডাদেশের পর সেলেজনেভের উকিল ইগর লিটভাক তার দেওয়া এক চিঠি থেকে জানান, নিজের দণ্ডাদেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন সেলেজনেভ। রুশ-মার্কিন সম্পর্কের তিক্ততার কারণে তাকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে কড়া সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। নিজেকে ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসেবে বর্ণনা করে রাশিয়ার প্রতি সাহায্যের আবেদন করেন তিনি।

তবে মার্কিন আইনজীবী অ্যানেট হেইস বলেন, যথাযথ নিয়মানুযায়ী-ই সব কিছু করা হয়েছে।

অন্যদিকে মার্কিন সরকার আরেক কুখ্যাত রুশ হ্যাকার পিটার লেভাশভকে অভিযুক্ত করেছে। তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন জালিয়াতি প্রতিষ্ঠান ‘কেলিহোস’- এর প্রধান। গত ৭ এপ্রিল বার্সেলোনায় স্প্যানিশ পুলিশ তাকে আটক করে।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০এপ্রিল ২০১৭/আবীর/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়