ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রহস্যময় দৈত্যাকার প্রাণীটির পরিচয় শনাক্ত!

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রহস্যময় দৈত্যাকার প্রাণীটির পরিচয় শনাক্ত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ভেসে ওঠা রহস্যময় দৈত্যাকার প্রাণীটির পরিচয় শনাক্তের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি মূলত তিমির মরদেহ। মরে যাওয়ার পর গ্যাসীয় হয়ে পড়ায় এটি ভেসে ওঠে। দাবি করে বললেও পুরোপুরি সংশয় মুক্ত নন তারা।

গত মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সেরাম দ্বীপে স্থানীয় এক জেলে প্রথমে ভেসে ওঠা প্রায় ৫০ ফুট লম্বা এই বিশালাকৃতির প্রাণীটি দেখতে পান। এরপর এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন ওঠে- এটি আসলে কী জাতীয় প্রাণী, কীভাবে এল সেরাম দ্বীপের কূলে?

প্রাণীটির সঙ্গে সেলফি তুলে অনলাইনে পোস্ট করার ধূম পড়ে। অসংখ্য মানুষ বিস্ময় জাগানিয়া প্রাণীটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন চাইছেন, এটি নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হোক।

প্রথমে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন এটি জায়ান্ট স্কুইড অথবা তিমি হতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত রাখেন তারা।

সমুদ্রের প্রাণীদের ওপর গবেষণাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওসান কনজারভেন্সির প্রধান বিজ্ঞানী জর্জ লিওনার্ড হাফিংটন পোস্টকে বলেছেন, কঙ্কালের অংশবিশেষ পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, এটি ব্যালেন হোয়েল (ব্যালেন তিমি)। এর মুখের আকৃতি থেকেও এটি প্রমাণিত হয়। তবে শতভাগ নিশ্চিত নন তিনি।

যদি তিমিই হয়, তাহলে এত বিশালাকৃতি নিয়ে এটি পানির ওপর কীভাবে ভেসে উঠল? জর্জ লিওনার্ডের দাবি, পচনের সময় দেহ গ্যাসীয় হয়ে উঠায় স্বাভাবিকের চেয়ে আকার বেড়ে যাওয়ায় এটি পানিতে ভেসে উঠেছে।

প্রাণীটি যদি তিমিই হবে, তাহলে সেটি মরে যাওয়ার পর সমুদ্রের তলদেশে ডুবে যাওয়ার কথা। লাইভ সায়েন্সের তথ্যমতে, তিমির মরদেহ সমুদ্রের তলদেশে চলে যায়। কিন্তু তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দাবি করছে, তিমিটি ব্যাপকভাবে ব্যাক্টেরিয়ায় আক্রান্ত হয়, যে কারণে পচনের সময় গ্যাস ফর্ম করে। এ ছাড়া এটি গরম পানির প্রবাহের মধ্যেও মরে থাকতে পারে। যে কারণে গ্যাস ফর্ম করে আকার বড় হওয়ায় ভেসে উঠেছে। এ দুই কারণ ছাড়া আরো একটি কারণের কথা বলছে লাইভ সায়েন্স। বড় জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ায় এর অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে এবং এ কারণে এটি ভেসে উঠে উপকূলের কাছে চলে এসেছে।

মালুকু দ্বীপপুঞ্জের প্রধান দ্বীপ সেরাম। এর পাশ দিয়ে ব্যালেন তিমির মাইগ্রেশন রুট রয়েছে। ফলে উপকূলের পাশে এমন তিমি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব দিক থেকে প্রমাণিত হয়, সেরামের উপকূলে ভেসে ওঠা রহম্যময় দৈত্যাকার প্রাণীটি আসলে একটি তিমির মৃতদেহ।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মে ২০১৭/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়