হতে গিয়েও হলো না কাতার ও সৌদি আরব সংলাপ
কাতারি আমির শেখ তামিম ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান (ডানে)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অচলাবস্থা নিরসনের উদ্দেশ্যে হতে গিয়েও হলো না কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যকার সংলাপ।
কাতারি আমির শেখ মোহাম্মদ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে শুক্রবার ফোনে কথা হয়। সংকট শুরুর প্রায় তিন মাস পর এই প্রথম সৌদি ও কাতারি নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি ফোনালাপ হলো।
দুই দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, বিবদমান সংকট নিরসনে ফোনালাপের সময় সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন নেতারা। এর সূত্র ধরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের চলমান কূটনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু আবার তা ভেস্তে গেল। সৌদি আরব জানিয়ে দিয়েছে, সংলাপ হচ্ছে না।
কিছু আরব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রটোকল সমস্যায় পড়ে সংলাপের সম্ভাবনা ভেস্তে গেছে। কেউ কেউ দাবি করছে, কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কিউএনএ পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, ফোনালাপের উদ্যোগ নেয় কাতার। দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের বিষয়ে কিউএনএ-এর খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের আলোচনার বিষয়ে সমন্বয় করেন।
কিউএনএ-এর খবরে আরো বলা হয়েছে, উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) ঐক্য ও স্থিতিশীলতার জন্য শেখ তামিম ও বিন সালমান সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
কাতারের সংবাদ সংস্থাটি আরো জানায়, বিরোধ নিষ্পত্তিতে দুই দেশের দুজন প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, যাতে সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে তারা সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আলোচনা করতে পারেন।
কিন্তু সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম (এসপিএ) কিউএনএ-এর দাবির সঙ্গে একমত নয়। তাদের দাবি, আলোচনার প্রস্তাব এসেছে কাতারের পক্ষ থেকে। কাতারি আমির ফোন করে সংলাপের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তখন সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে জানানো হবে।
এ অবস্থায় সৌদি আরবের এসপিএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাতার যত সময় জনগণের সামনে এ বিষয়ে সত্য প্রকাশ না করছে, তত সময় তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ বা আলোচনা নয়।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সহযোগিতার অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর। ২২ জুন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি প্রস্তাব হিসেবে কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয় এই চার দেশ। কিন্তু কাতার তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে অচলাবস্থা চলতে থাকে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রাসেল পারভেজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন