ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বয়স্কদের সঙ্গে রাখতে হবে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বয়স্কদের সঙ্গে রাখতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বয়স্ক জনগোষ্ঠিকে সঙ্গে  রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘কমিশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের ৫৬তম অধিবেশন উপলক্ষে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০২ সালে গৃহীত ‘মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন’ এর তৃতীয় রিভিউ ও অ্যাপরাইজালের আঞ্চলিক ফলাফলের ওপর গ্লোবাল রিভিউ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার  জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ এসব তথ্য জানান।

বয়স্ক জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যাপক পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে বয়স্কভাতা প্রদান করছে। দেশে প্রবীণদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং বিদ্যমান হাসপাতালগুলোতে প্রবীণদের জন্য বেড সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রবীণদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত প্রচেষ্টাগুলোকে প্রতি বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বয়স্কদের মধ্যে যারা কর্মক্ষম রয়েছেন বা কাজ করতে চান তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইউএন-এসকাপ প্রণীত রিপোর্টে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বয়স্ক জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ অঞ্চলের দেশগুলো গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে ড. শিরীন শারমিন বলেন, এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেরই বয়স্কদের জন্য জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ দেশে এ বিষয়ে রয়েছে যুগোপযোগী আইন। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোও যে বয়স্ক জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে, এটি তারই উদাহরণ।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশে বয়স্কদের মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে ‘পিতামাতার ভরণ-পোষণ আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনের প্রতি এশীয় ও প্রশান্ত মহাসগরীয় দেশগুলো সর্বদাই প্রথাগতভাবে শ্রদ্ধাশীল মর্মে তিনি এ সভাকে অবহিত করেন। ইউএন-এসকাপের রিপোর্টে উল্লিখিত এসব উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ সত্বেও বয়স্কদের আয়ের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। তিনি তার বক্তৃতায় এ জাতীয় বৈষম্য নিরসনের বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য ‘মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন’ গৃহীত হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এর রিভিউ হয় এবং কমিশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের অধিবেশনে রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়।

এবারের ৫৬তম অধিবেশনে গ্লোবাল রিভিউতে এর তৃতীয় রিভিউ উপস্থাপিত হলো। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে আঞ্চলিক রিপোর্ট উপস্থাপন উপলক্ষে আজ এই গ্লোবাল রিভিউতে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়