ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়া শান্তি চায় বলে ধারণা ট্রাম্পের

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২০, ১১ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উত্তর কোরিয়া শান্তি চায় বলে ধারণা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া শান্তি চায় বলেই তার ধারণা। কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য একটি বৈঠকের ঘোষণা আসার পর তিনি দেশটির প্রশংসা করে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এএফপি ও বিবিসি জানিয়েছে. পেনসিলভ্যানিয়ায় শনিবার ট্রাম্প তার সমর্থকদের এক সমাবেশে আরো বলেন, ‘আমি মনে করি এটাই শান্তি প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত সময়।’ রিপাবলিকান কংগ্রেস প্রার্থী রিক স্যাকোনের এক নির্বাচনি প্রচার কাজের অংশ হিসেবে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প।

তবে বৈঠক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া  ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প।তিনি বলেন, সম্ভাব্য ওই বৈঠক হয়তো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। কিংবা এ থেকে দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা কমাতে ‘বিশ্বের জন্য একটি সর্বশ্রেষ্ঠ চুক্তি’হয়ে যেতে   পারে। তার ভাষায়, এটা হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট ডিল ফর দ্য ওয়ার্ল্ড।’

ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় যদি অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মনে হয়, তাহলে আমি দ্রুত সরে আসবো। তবে আমি বিশ্বাস করি, উত্তর কোরিয়া শান্তি চায়। ফলে এটাই সঠিক সময়।

উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ওই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ এ বৈঠক হতে পারে।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কাছে থেকে পাওয়া সাক্ষাতের আমন্ত্রণ গ্রহণের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প এ কথা জানান। ওই কর্মকর্তারাই কিমের আমন্ত্রণ ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেন। গত কয়েক মাসে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হুমকির পর এই ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই নেতার সম্ভাব্য এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে । জাতিসংঘ, রাশিয়া, চীন ও  দক্ষিণ কোরিয়া এরইমধ্যে ওই উদ্যোগের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ট্রাম্প ও কিমের সম্ভাব্য ওই বৈঠকের ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। জাতিসংঘ মহাসচিব সংশ্লিষ্ট সবার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গির তারিফ করেছেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, মস্কোর প্রত্যাশা দুই পক্ষের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ থেকেই এটা একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত। বেইজিং এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কুয়াং-উয়াহ বলেছেন, তার দেশ সম্ভাব্য এ বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করছে।

প্রসঙ্গত, পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করে আসছে জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করে অবরোধ আরোপ করলে দেশটির তেল আমদানি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ওই অবরোধের পরও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার মিসাইলের সফল পরীক্ষার দাবি করে উত্তর কোরিয়া।

তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার পথ তৈরি হয় দেশটি গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখালে । এরই ধারাবাহিকতায় এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা পিয়ংইয়ংয়ে কিমের সঙ্গে এক অভূতপূর্ব বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকের পরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কিমের বার্তা পৌঁছে দিতে ওয়াশিংটনে ছুটে যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা।



রাইজিংবিডি /ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৮/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়