কালো বলায় ৫ জনকে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার গায়ের রঙ কালো। এ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অহরহ গঞ্জনা সইতে হতো। আবার রান্নার জন্য শুনতে হতো নানা কথা। এক সময় এতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠেন ভারতের মহারাষ্ট্রের ২৮ বছরের ওই তরুণি। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সবাইকে না পারলেও খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। শনিবার রাজ্য পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার মাহাদ গ্রামে সুভাশ মানে নামে এক ব্যক্তি তার আত্মীয়দের দাওয়াত করেন। এতে গৃহবধূ প্রাগায়া সুরভাসিসহ শতাধিক লোক অতিথি ছিলেন। রাতের খাবারের পর অতিথিরা তাদের পেটব্যথা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এরপরই তারা বমি করতে শুরু করেন। দ্রুত তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত চার শিশু ও ৫৩ বছরের এক বৃদ্ধ মারা যান। হাসপাতালে এখনো অনেকে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, তারা খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অতিথি ও সুরভাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সুরভাসি খাবারে কীটনাশক মেশানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সুরভাসি জানিয়েছেন, দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়্। প্রায় তাকে গায়ের রঙ ও রান্নার জন্য কটু কথা শুনতে হতো। এক পর্যায়ে তিনি সব আত্মীয়কে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত সপ্তাহে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উৎসব উপলক্ষে দাওয়াত পাওয়ার পর তিনি একে সুবর্ণ সুযোগ মনে করেন। তিনি ওই বাড়ির খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন এবং খাবার পরিবেশনে সহযোগিতাও করেন।
রাইগাদ পুলিশের সুপারেন্টিডেন্ট অনিল পারস্কার বলেন, ‘বৈবাহিক ও পারবারিক কলহের কারণে সে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুন ২০১৮/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন