শিক্ষকদের অনশনে নাগরিক সমাজের সংহতি
ফাইল ফটো
নিজস্ব প্রতিবেদক : এমপিভুক্তির দাবিতে অনশনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনরত শিক্ষকদের মাঝে নাগরিক সমাজের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসে সংহতি প্রকাশ করে।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এ এন রাশেদা, ডিএইচইএনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইদ, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ রনজিৎ কুমার সাহা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সংহতি প্রকাশ করতে আসা সংগঠনটির নেতারা বলেন, শিক্ষকদের দাবি যুক্তিসংঙ্গত। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশের শিক্ষাগুরুরা রাস্তায় থাকে আর আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারি না। অবিলম্বে তাদের এ দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় আন্দোলনরত সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জানান, আমাদের আন্দোলনের ৩০ দিন হলো। আমরণ অনশনের ১৫তম দিন চলছে আজ। আমি নিজেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখনো ২০০ জন অসুস্থ হয়ে আছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি তো ন্যায্য। এই ন্যায্য দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নেওয়ায় এর আগের আন্দোলন আমরা ইস্তফা দিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আশাহত করা হয়েছে। বাজেটে আমাদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ফের আন্দোলনে নেমেছি। আশায় আছি, ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নেবে।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তার কার্যালয় থেকে কোনো খবর আসেনি।
দাবি দুটি হলো- সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করে পরবর্তী অর্থবছরে তা সমন্বয় করা। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এমপিওভুক্তির পর তিন বছর সময় দেওয়া।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, গত ১২ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুলাই ২০১৮/হাসিবুল/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন