ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও তার প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ২৮ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও তার প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি মানবিক সাহায্য সংস্থার কর্মী শামীমা আক্তার হ্যাপী হত্যা মামলায় স্বামী ও তার প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শামীমা আক্তারের স্বামী মুকুল হোসেন মোল্লা এবং তার প্রেমিকা লাভলী আক্তার নীলুফা। মুকুল হোসেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ময়েনদিয়া শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াজেদ মোল্লার ছেলে।

রায় ঘোষণাকালে মুকুল হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। লাভলী আক্তার মামলার শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পারিবাবিকভাবে মুকুল হোসেনের সঙ্গে শামীমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে মুকুল হোসেন সাভারের গেন্ডায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। ওই বাসায় তার একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি ছিল। শামীমা আক্তার বিয়ের আগে রাজধানীর ডেমরায় বেসরকারি মানবিক সাহায্য সংস্থায় হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর তিনি সাভার শাখায় চলে যান এবং সংসার জীবন শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি শামীমা আক্তার নিখোঁজ হন। পরের দিন তার স্বামী মুকুল হোসেন সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পত্রিকাতেও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তারপরও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে মুকুল হোসেনের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে সাভার থানা পুলিশকে জানান শামীমা আক্তারের ভাই সাইফুল ইসলাম। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে যে, মুকুল হোসেনের সঙ্গে তার কারখানায় কর্মরত দুই সন্তানের জননী লাভলী আক্তার নীলুফারের পরকিয়া সম্পর্ক আছে। মুকুল হোসেন নীলুফা আক্তার ও আরেক নারী মিলে ৭ জানুয়ারি শামীমা আক্তারকে হত্যা করে তার দেহকে ত্রিখণ্ডিত করে তাদের বাসা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জের ইটভাটা সেতুর কাছে ফেলে আসে।

এদিকে ইটভাটা থেকে শামীমা আক্তারের মাথা উদ্ধারের পর ৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানার এসআই গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলা তদন্ত করে একই থানার এসআই রজব আলী ২০১২ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  ২০১৪ সালের ৪ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এদিকে মুকুল হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৭/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়