খালেদার দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও  জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করে পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এদিন ধার্য করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার বিষয়টি জানান চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির।

কিন্তু হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার সময়ের আবেদন করেন। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা বদলির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ৩২ সাক্ষির পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে সময় চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

এতিমদের জন্য বিদেশি থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফ/ইভা