ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হত্যা মামলায় সর্বহারা পার্টির ৬ সদস্যের যাবজ্জীবন

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হত্যা মামলায়  সর্বহারা পার্টির ৬ সদস্যের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোরের মনিরামপুরের কুমারঘাটা গ্রামের খেজের আলী তরফদার হত্যা মামলায় সর্বহারা পার্টির ৬ সদস্যকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে এক রায়ে স্পেশাল জজ (জেলা জজ) ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যশোরের কেশবপুরের কাকবাধাল গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে হায়দার আলী, ময়নাপুর গ্রামের মৃত সুধীর মণ্ডলের ছেলে ডাক্তার তুষার মণ্ডল, আড়ুয়া গ্রামের সনাতন ওরফে সোনা মালীর ছেলে হিরামন মালী, মৃত সতীশ মণ্ডলের ছেলে সুকৃতি মণ্ডল, খুলনা ডুমুরিয়া থানার ময়না গ্রামের শিব মণ্ডলের ছেলে প্রীতিশ মণ্ডল ও বরাতিয়া গ্রামের ফনি সরদারের ছেলে প্রশান্ত ওরফে প্রো।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে খেজের আলী তরফদারের বাড়ির সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা তার বাড়িতে আসেন। আসামিরা সুকৃতি মণ্ডলকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। কথা বলার একপর্যায়ে আসামিরা তাকে তাদের সঙ্গে যেতে বলেন। খেজের আলী যেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে যান। এ সময় খেজের আলীর চিৎকারে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এরই মধ্যে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মাসুদ রেজা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মনিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হায়দার আলীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার এবং অপর হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও প্রোকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি, সুকৃতিকে চাঁদা না দেওয়ায় সর্বহারা পার্টির নেতার নির্দেশে খেজের আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৭ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক।

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

আসামি জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মামলা থেকে। সাজাপ্রাপ্ত সুকৃতি মণ্ডল, হিরামন মালী ও প্রশান্ত ওরফে প্রো পলাতক রয়েছেন।

সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এস এম বদরুজ্জামান পলাশ।



রাইজিংবিডি/যশোর/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/বি এম ফারুক/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়