ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তাহমিদের বিরুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তাহমিদের বিরুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য গোপনের অভিযোগে ভাটারা থানায় করা নন প্রসিকিউশন মামলায় কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খানের বিরুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহিদুর রহমান ও কনস্টেবল মনির হোসেন।

এ দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার আবু শাহিন। আগামী ১৪ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ আসামির আত্মপক্ষ শুনানির জন্য আদালত দিন ধার্য করেছেন বলে জানান তিনি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ৩ আগস্ট গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে পুলিশকে অসহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের একটি বাসা থেকে তাহমিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় তাহমিদ হাসিব খানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং সরকারি কর্মচারির নোটিশের জবাব না দেওয়ায় একটি নন প্রসিকিউশন মামলা দায়ের করেন।

তাহমিদ হাসিব খান আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে। তিনি কানাডার স্থায়ী নাগরিক।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।

ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামেহ  মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।

রেস্টুরেন্টে হামলার পর গত ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়