ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যৌথ ঘোষণা: সমঝোতা স্বাক্ষরে আগ্রহী অনেক দেশ

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ১৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যৌথ ঘোষণা: সমঝোতা স্বাক্ষরে আগ্রহী অনেক দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জঙ্গিবাদ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধান ও আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

যৌথ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে আছে- মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও মালয়েশিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিজ অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এসব তথ্য জানান।

সম্মেলনে ইন্টারপোলের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ওয়ান টু ওয়ান কমিউনিকেশন, সন্ত্রাস দমনে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে তথ্য বিনিময়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্বের নেতৃস্থানীয় সংস্থার মধ্যে পেশাগত সম্পর্ক বৃদ্ধি, সাইবার ক্রাইম ও অর্থনৈতিক অপরাধ দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অপরাধ দমনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে যৌথ সিম্পোজিয়াম ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান ছাড়াও আফগানিস্তানের সিনিয়র ডেপুটি মিনিস্টার ফর সিকিউরিটি আবদুল রহমান, মালয়েশিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ খালিদ আবু বকর, মিয়ানমার পুলিশের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাইও সি উইন এবং শ্রীলঙ্কার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ পুজিৎ সেনাদি বান্দর জয়াসুন্দারাসহ ৫৮ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে যোগ দেন।

এ সম্মেলনে ১৪টি কর্ম অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মাদক দ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যৌথ ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল এবং বিশ্বব্যাপী অপরাধের ধরন চিহ্নিতকরণ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে একটি কৌশল উদ্ভাবনের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। যৌথ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার পর অনুমোদন দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনুমোদন পেলে যৌথ ঘোষণা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৭/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়