ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গ্রেপ্তারের পর আসামিকে ছেড়ে দেয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রেপ্তারের পর আসামিকে ছেড়ে দেয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবপাচারের একটি মামলার প্রধান আসামি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ায় ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশীদ আলমকে তলব করেছেন আদালত।

বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম আসামির অবস্থান জানতে তলবের এই আদেশ দেন।

আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে আসামির বর্তমান অবস্থান কোথায়, তার ব্যাখ্যা ২ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলেছেন বিচারক।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, হাজারীবাগের প্রাক্তন কমিশনার হারুন চৌধুরীকে মামলাটিতে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে বাদীর আইনজীবী দাবি করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘আইনি বিধান অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আসামি হাজির করতে হয়। যদি না করা হয় তবে তা লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে। আসামি অসুস্থ হলে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশ আসামিকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারে না। দিলেও তা আদালতকে জানাতে হবে।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আম্বিয়া খাতুন নামের এক নারীর মাধ্যমে প্রাক্তন কমিশনার হারুন চৌধুরীর বাসায় মাসে ২ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেন কিশোরীর বাবা। কাজে যোগ দেয়ার আট থেকে নয় মাস পর ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরীর বাবা মেয়েকে ঈদে বাড়ি পাঠানোর জন্য হারুন ও তাঁর স্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। তবে হারুনের মেয়ের স্বামী লিটন তাকে বলে দেন, কিশোরীটির ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। পরে কিশোরীর বাবা ঢাকায় আসামিদের বাসায় এসে তার মেয়ের খবর জানতে চান। তখন তাকে আটকে রেখে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কিশোরীর বাবা হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেয়ায় তিনি ওই বছর ২৭ অক্টোবর আদালতে মানব পাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি নালিশী মামলা করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে আম্বিয়া খাতুন, হারুন চৌধুরী, তার স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে ওই বছর ৮ নভেম্বর মামলা নেয় হাজারীবাগ থানা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়