ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লঞ্চডুবি : ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রায় রোববার

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লঞ্চডুবি : ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রায় রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদপুরের মেঘনা  নদীর মোহনায় এমবি নাসরিন-১ লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায়ের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৮  মে রোববার রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী ও ইশরাত হাসান।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, কামরুল হক সিদ্দিকী ও সুব্রত চৌধুরী।

আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, ২০০৩ সালের ৮ জুলাই চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এমবি নাসরিন-১ লঞ্চডুবিতে  নিহত হন ১১০ জন, নিখোঁজ হন ১৯৯। ওই নৌ দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিক এবং মাস্টারও নিহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় লঞ্চটির নকশা তদারকি দলের (সুপারভাইজার প্যানেল) দুই সদস্যের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড হয়। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ (ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স) অনুযায়ী গঠিত নৌ আদালতে এ রায় হয়।

এরপর একই বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দুর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। যার পরিমাণ ৭০ লাখ টাকার উপরে।

নিহত ব্যক্তিদের দেওয়া ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহত ১২১ জনের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট)।মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

মামলায় নৌ-সচিব, সমুদ্র পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়।

২০১২ সালে সেই মামলা বদলি হয়ে ঢাকার ৭ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, পরে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৭ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত সাক্ষী জেরার সময় বিবাদীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় একতরফা শুনানি শেষে রায় দেন। রায়ে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেন আদালত।

পরবর্তীতে বিবাদীরা জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন জানান। আদালত পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন নামঞ্জুর করেন।

নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএসহ বিবাদীরা ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেন।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল ও রদ করা হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেন।

সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামী ২৮ মে দিন ধার্য করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/মেহেদী/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়