ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনী : আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতুবি

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ষোড়শ সংশোধনী : আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতাসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।

পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মে, রোববার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আজ আদালতে অ্যামিক্যাস কিউরদের (আদালতের বন্ধু) মধ্যে বিচারপতি টি এইচ খান, ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

এর আগে গত ৮ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়।

এরপর ৯ মে শুনানি শেষে ২১ মে পর্যন্ত মুলতুবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২১ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে শুনানি চলছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে ১২ অ্যামিক্যাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। এই ১২ বিশিষ্ট আইনজীবী হলেন- বিচারপতি টি এইচ খান,  ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এম আই ফরুকী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী এ এফ হাসান আরিফ ও  আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

গত বছরের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।  পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত বছরের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬নং অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে, এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। গত বছরের ১০ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেন আদালত।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/মেহেদী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ