ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জবি শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার হুমকি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আশরাফুল ইসলাম আকাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জবি শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার হুমকি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১০ম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ অভিকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভি ক্যাম্পাস সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বিকাশের টাকা ক্যাশ আউট করে রিক্সায় করে ফিরছিলেন। রাস্তায় সূত্রাপুর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পির মোটর সাইকেলের সঙ্গে রিক্সার ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাপ্পী ওই রিক্সা চালককে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন। অভি রিক্সা চালককে না মারার জন্য বাপ্পীকে অনুরোধ করেন। এসময় বাপ্পি অভির পরিচয় জানতে চান। অভি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানান।

অভি সত্যি সত্যিই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা তা দেখে নিতে বাপ্পী তাকে মোটর সাইকেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। কিন্তু বাপ্পী ক্যাম্পাসেই এক পর্যায়ে অভির সার্টের কলার চেপে ধরে তুলে নিয়ে যেতে চান। এ দৃশ্য দেখে অভির সহপাঠীরা অভিকে ছাড়িয়ে নেন বাপ্পির হাত থেকে। এদিকে বাপ্পী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে অভিকে বিশ্রি ভাষায় গালি দিতে থাকেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। 

এ সময় ফটকের সামনে থাকা শিক্ষার্থীরা বাপ্পীকে ধরে উত্তম মধ্যম দিতে উদ্যত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাপ্পী দ্রুত পালিয়ে যান।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর বাপ্পী সূত্রাপুর যুবলীগের বিশ পচিঁশ জন কর্মীকে লাঠিসোটাসহ নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা জবির শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করার চেষ্টা করেন। এসময় জবির শিক্ষার্থীরা পাল্টা ধাওয়া দেন । বিক্ষুব্ধ জবি শিক্ষার্থীরা সূত্রাপুর থানার ৪৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফয়জুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মিটমাট করে ফেলেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

কোতায়ালি থানা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বদরুল হাসান বলেন, ‘বহিরাগত কিছু লোকের সঙ্গে জবি শিক্ষার্থীদের হালকা একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার আরিফ হোসেন ছোটন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বাপ্পী আমার রাজনৈতিক ছোট ভাই। তার সাথে জগন্নাথের কিছু ছেলের কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে এ বিষয়টি আমরা আলোচনা করে ক্যাম্পাসে মীমাংসা করতে গেলে আসার সময় আমাদের ও কয়েক জনের সাথে হাতাহাতি হয়। আমাদের মহল্লার ফয়জুল্লাহ নামের এক লোকের মটর সাইকেল ভাংচুর করে জগন্নাথের ছেলেরা। পরে অবশ্য আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/আশরাফ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়