ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চৌহালী বাঁধ ধসে ১০০ মিটার বিলীন

অদিত্য রাসেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৩ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চৌহালী বাঁধ ধসে ১০০ মিটার বিলীন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭ কিলোমিটার এলাকার বাঁধে  খগেনের ঘাট অংশে ধসে সোমবার দুপুরে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।

যমুনার ভাঙ্গন হতে বাকি এলাকাটুকু রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে নির্মিত বাঁধটি আর টিকতে পারছে না। ঘর-বাড়ি রক্ষা করার পরিবর্তে সে নিজেই যমুনার থাবায় পরিণত হচ্ছে বার বার।

১০ দিনের মাথায় এই ধস নিয়ে চলতি বছরে ৬ দফা ধসে গেল এ বাঁধ। নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে যাওয়া বাঁধটি ধসছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ধসের পরিধি ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে সবার মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এই টাকা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকাতে নদীর পূর্বপাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকায় গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর চৌহালীর খগেনের ঘাট অংশে প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে ধসে যায়। বাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। সাধারণ স্রোতে আকস্মিক এ ধসে এলাকা জুড়ে সবার মাঝে আতংক দেখা দেয়। বাঁধ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই দফায়-দফায় এমন ভাঙ্গনে নির্মাণে স্লপিং কাজে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে ব্লক দেওয়াসহ পাথরের চারপাশে ফাকা স্থানগুলো সিমেন্ট দিয়ে পূর্ণ করে না দেওয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারণ স্রোতেই সরে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। চলতি বছরে ৬ দফা ধসে মূল বাঁধটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই কাজ নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এদিকে বাঁধটি বার-বার ধসে চিন্তিত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ।

তিনি জানান, বার-বার ধসে আমরাও বিব্রত। তাই প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবো মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত বাঁধ পরিদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।

প্রসঙ্গত : চৌহালীতে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধে গত এপ্রিলে, ২ ও ১৬ মে, ৮ জুন, ২৩ জুন একইভাবে বিভিন্ন অংশে ধসের ঘটনা ঘটে।



রাইজিংবিডি/সিরাজগঞ্জ/৩ জুলাই ২০১৭/অদিত্য রাসেল/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়