ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

১৪ আস্তানায় তামিমসহ ৫৭ জঙ্গি নিহত

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৪ আস্তানায় তামিমসহ ৫৭ জঙ্গি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৪ জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গি তামিম চৌধুরীসহ ৫৭ জন নিহত হয়। এ কারণে জঙ্গিরা অনেকাংশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন।

বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক সংবাদ সম্মেলন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘জঙ্গিরা সাধারণত তাদের কর্মকাণ্ড বেশি করে থাকে রমজান মাসে। রোজার মাসকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কেননা এ মাসে সওয়াব বেশি হয়। এ ভ্রান্ত ধারণা থেকে জঙ্গিরা হামলা করে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে। গুলশানের হলি আর্টিজানে তারা রোজার মধ্যেই হামলা করেছিল।’

জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘তাদের নেটওয়ার্ক এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। অস্ত্র-গোলাবারুদের অস্তিত্বের সন্ধান মিলেছে। অনেকেই গ্রেপ্তার কিংবা মারা গেছে। নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিরাও মারা গেছে। এখন চলছে নির্মূলের কাজ।’

পুলিশের এক হিসাবে দেখা গেছে, রাজধানীর আজিমপুর, রূপনগর, কল্যাণপুর, বারিধারা, যাত্রাবাড়ি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের আস্তানা মেলে। এর মধ্যে ১৪টি আস্তানায় জঙ্গিরা পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি করে। পুলিশের বিশেষ ইউনিটের অভিযানে আস্তানায় নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক জঙ্গি মারা যায়। ফেব্রুয়ারি থেকে এ অভিযানে ৩২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে আইনে সোপর্দ করা হয়। আস্তানাগুলো থেকে ১০৪ জনকে জীবিত, আর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, শক্তিশালী বোমা ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জেএমবির বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ সোহেল মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র-গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং সরবরাহ এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। এটি জঙ্গিদের জন্য বড় একটি ধাক্কা বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন। কেননা অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে তারা ইসলাম রক্ষার নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে নিজেদের অবস্থানের জানান দেয়।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, পলাতক মেজর জিয়া, আইয়ুব বাচ্চুই (ছদ্মনাম) এখন নব্য জেএমবিকে নিয়ে কাজ করছে। তবে তারা এদেশে না বিদেশ বসে সংগঠন পরিচালনা করছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া পুলিশের অভিযানের ভয়ে জীবিত অনেক জঙ্গিই কর্মকাণ্ড ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। এ কারণে বলা যায় নব্য জেএমবি অনেকাংশে দুর্বল হয়ে গেছে। তবে তারপরও তারা যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি দেশব্যাপী অব্যাহত আছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৭/মাকসুদ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়