ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রাইম ব‌্যাংকের প্রাক্তন ব‌্যবস্থাপকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাইম ব‌্যাংকের প্রাক্তন ব‌্যবস্থাপকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রাইম ব্যাংকের প্রাক্তন শাখা ব্যবস্থাপকসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি ওই মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই চার্জশিট বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে এ সংক্রান্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হলেও আদালত পুনরায় তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করার জন‌্য আদেশ দেয়।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোজাম্মেল হোসেন হাওলাদার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানীর আদাবর (ডিএমপি) থানায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-১৪)। পরে মামলাটির তদন্তের ভার দুদককে দেওয়া হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- প্রাইম ব্যাংকের রিং রোড শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা, একই শাখার প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার জাহানারা বেগম, প্রাক্তন নির্বাহী কর্মকর্তা (এইচআর) জাহিদুল ইসলাম খান, মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্স নামক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত আলী খান, মেসার্স তামান্না ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী রওশন আরা হাই, মো. শহিদুল ইসলাম এবং মো. হাবিবুর রহমান।

আসামির তালিকায় আল-আমিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন থাকলেও তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিট থেকে তাকে অব‌্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি গোলাম মোস্তফা রিং রোড শাখার ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার আত্মীয়দের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে ঋণ দেন। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো জামানত কিংবা কাজগপত্র নেওয়া হয়নি। ম্যানেজার জাহানারা বেগম অসৎভাবে লাভবান হবার উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই এসব বিধিবহির্ভূত ঋণপত্রে সই করেন।

সূত্র আরো জানায়, যথাযথ রেকর্ডপত্র ছাড়াই ভুয়া প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সকে দুই কিস্তিতে ৪০ লাখ, জামানত এবং ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই তিনটি ভুয়া এলসির বিপরীতে মেসার্স তামান্না ট্রেডার্সকে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার, ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে এবং একটি ভুয়া এফডিআর বন্ধক দেখিয়ে ৬০ লাখ, ওই ব্যবস্থাপক নিজের কথা বলে ২৫ লাখ এবং দুটি ভুয়া এফডিআর বন্ধক দেখিয়ে ১১ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৫ টাকা উত্তোলন করেন। এভাবে তারা ব্যাংক থেকে এবং গ্রাহকদের নামীয় ঋণ হিসাব থেকে সর্বমোট ১ কোটি ৮৬ লাখ  ৯ হাজার ৪৪৬ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়