ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘নতুন সদস্যদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো তারা’

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘নতুন সদস্যদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো তারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার তিন জঙ্গি তাদের নতুন সদস্যদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।

তিনি বলেছেন, নতুন সদস্যদের পরিবার ত্যাগ করে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতির পর্ব সম্পন্ন করতো তারা।  

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ এ তথ্য জানান। এর আগে বুধবার রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার আফতাবনগরে গোপন বৈঠকের প্রস্তুতিকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুশফিকুল হক (২৪), বিপ্লব হোসেন কামাল ওরফে সুন্নাহ কামাল ওরফে মাওলানা কামাল হোসেন বিপ্লবী (২৬) ও মামুনুর রশিদ ওরফে আবু ইউশা (২৬)। এদের মধ্যে মুশফিকুলের বাড়ি সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরে, কামালের বাড়ি  চাঁদপুর জেলার মতলবে ও মামুনুরের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়।

তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, তারা জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের পক্ষে তারা কর্মী সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ, জঙ্গিবাদে নতুন সদস্যদের উদ্বুদ্ধকরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। এসব কাজ তারা ইমাম মেহেদী নামের এক বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে করতো। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপকে পূনর্গঠন করা।’

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিকুল জানিয়েছে, সে ২০১২ সালে রিটার্ন টু ইসলাম (আরআইটি) নামের একটি উগ্র মতাদর্শের সংগঠনের সঙ্গে জড়ায়। ওই সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মামুনুর রশিদ ওরফে কাজল ওরফে ইবনে আজিজুর রহমান। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকা চলে আসে। এখানে আসার পর ইমাম মেহেদী নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমাম মেহেদীর মাধ্যমেই মুশফিকুল সারোয়ার-তামিম গ্রুপে যোগ দেয়।’ 

তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ও বহু ভাষায় অভিজ্ঞ। তারা বিভিন্ন ভাষা থেকে উগ্রবাদী কথাগুলো বাংলায় অনুবাদ করত। পরে পিডিএফ ফাইল করে নতুন সদস্যদের কাছ পাঠাত। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদ, তাওহীদ ও ইমাম মেহেদী নামের কয়েকজন পলাতক ব্যক্তির কথা উঠে এসেছে। এদের ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মামুনুর রশিদ ওরফে কাজল গত ছয়/সাত মাস ধরে সিলেট এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজতে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৭/নূর/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়