ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শাহবাজ কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শাহবাজ কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?

নওয়াজ শরিফ (বাঁয়ে) ও শাহবাজ শরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষিত নওয়াজ শরিফের একান্ত ইচ্চা, তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হোক। কিন্তু এ নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফের আসীন হওয়ার পরিকল্পনার সরাসরি বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, দলের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট রাজনৈতিক ও আইনি সমস্যা আছে।

রানা সানাউল্লাহর দাবি, প্রধানমন্ত্রী বানাতে শাহবাজ শরিফকে জয়ী করে আনতে নির্বাচনী খেলায় নামলে দলের মূল লক্ষ্য উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা থেকে দৃষ্টি সরে যাবে। বাকি মেয়াদে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল।

সোমবার পাঞ্জাব রাজ্যের রাওয়ালপিন্ডির মুরিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগ-এন-এর বৈঠকে এ পরামর্শ দেন তিনি। তবে তার পরামর্শের বিষয়ে দলীয় নেতৃত্ব এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের প্রভাবশালী মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। রাজনীতির পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পর আগামী ৪৫ দিনের জন্য নিজেরাই নিজেদের ওপর নির্বাচনী ব্যতিব্যস্ততা চাপিয়ে সমস্যা ডেকে আনা ঠিক নয়।

শুক্রবারের ঘটনা বলতে সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজ শরিফের অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার দিনকে উল্লেখ করেছেন তিনি। রানা সানাউল্লাহ আপত্তি তুললেও স্বয়ং নওয়াজের ইচ্ছায় দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির ৪৫ দিন মেয়াদ শেষে তার স্থালাভিষিক্ত হবেন শাহবাজ শরিফ। এ সময়ে মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন তিনি।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে (পার্লামেন্ট) ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন প্রাক্তন তেল ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি। পরে তাকে শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন।

নওয়াজ শরিফের মুসলিমের লীগের পরিকল্পনা, ৪৫ দিন বাদে এ পদে বসবেন শাহবাজ শরিফ। তবে তার আগে তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। নওয়াজ শরিফ অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় তার সংসদীয় আসন ফাঁকা হয়ে গেছে। সেই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন শাহবাজ শরিফ। দলের শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় তার বিজয় নিশ্চিত বলা যায়।

এদিকে, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খালি হবে। সেখানে নতুন কাউকে বসাতে হবে। শাহবাজের পরিবর্তে কে হবেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তা ছাড়া নতুন কেউ এলে প্রাদেশিক রাজনীতির মোড় ঘুরে যেতে পারে, দলীয় বিশৃঙ্খলাও দেখার দেওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। যা রানা সানাউল্লাহ আপত্তির মধ্য দিয়ে সামনে এল।

রানা সানাউল্লাহ দলীয় নেতৃত্বকে অবহিত করেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আপিল করার সুযোগ হতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে নওয়াজ শরিফ আবার রাজনীতিতে ফরার সুযোগ পেতে পারেন। ফলে এ সময়ে উপনির্বাচনে মনোযোগ দেওয়ার পক্ষে নন তিনি।

পাকিস্তানের গণমাধ্যমের আলোচনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুপারিশ করা হচ্ছে, সরকারের বাকি মেয়াদে খাকান আব্বাসি প্রধানমন্ত্রী থাকলে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য মুসলিম লীগ-এন-এর সুবিধা হবে বেশি। বিষয়টি নিয়ে ভাবছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নাও হতে পারে।

তথ্যসূত্র : ডন অনলাইন


 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৭/রাসেল পারভেজ 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়