ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘এই প্রশ্নগুলো আসলে অবাকই লাগে’

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘এই প্রশ্নগুলো আসলে অবাকই লাগে’

সাকিব আল হাসান (ফাইল ছবি)

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাকিব আল হাসান টেস্ট থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন ছয় মাসের। আপাতত তাকে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্টের সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। টেস্ট না খেললেও সীমিত ওভারের সিরিজে তিনি ঠিকই খেলবেন। বিশ্রামটা শুধু টেস্টেই কেন নিলেন, সেটা ব্যাখ্যা করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

মঙ্গলবার বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাকিব বলেছেন, ‘সীমিত ওভারের খেলা ১ ঘন্টার হয় বা ৩ ঘন্টার হয়। টেস্ট ম্যাচ ৫ দিনের হয়, প্রস্তুতি আরো ১০-১৫ দিনের হয়, প্রস্তুতি ম্যাচ ৩ দিনের থাকে। একটি টেস্ট সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিলে পাওয়া যায় এক মাসের বিরতি। টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রাম নিলে পাওয়া যায় ৩ দিনের বিরতি, ওয়ানডে সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিলে পাওয়া যাবে ৭ দিনের বিরতি। আমার একটু বড় বিরতি দরকার। এই কারণেই টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ আছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও কি বিশ্রাম নেওয়ার ভাবনা আছে সাকিবের? সাকিব বললেন, ‘৬ মাসের জন্যই আবেদন করেছি। এখন এই সিরিজের পর দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত এবারের দুটি টেস্টে অনুমতি দিয়েছে। এরপর যখন খেলা শুরু হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, বিপিএল, তারপর ওই সময়টা চিন্তা করব যে, ওই দুটি টেস্ট খেলব কী খেলব না। সেভাবে কথা বলব তখন। তারপর যদি তারা মনে করে যে আমার খেলার দরকার বা আমার নিজের যদি মনে হয় যে মানসিকভাবে এমন অবস্থায় আছি যে পুরোটা দিতে পারব, তখন অবশ্যই খেলব।’

টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার দৃষ্টান্ত আছে অনেক। দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল যেমন তাদের টেস্ট থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। আন্তর্জাতিক ও বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে বেড়ান তারা। তারা টি-টোয়েন্টিকে বেশি প্রাধান্য দেন বলে সমালোচনাও আছে। সাকিবও সেই পথে হাঁটছেন কি না, উঠেছে সেই প্রশ্নও।

তবে এমন প্রশ্ন সাকিবকে বেশ অবাকই করে, ‘এসবে প্রতিক্রিয়াই দেখাই না। কারণ আমার শরীর আমি বুঝতে পারব যে কতটা ধকল যাবে। এই যে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে কেন বিশ্রাম নিলাম না, বাইরের টি-টোয়েন্টি কেন নিলাম না, এই প্রশ্নগুলো আসলে একটু অবাকই লাগে। কারণ আমি যখন বাইরের টি-টোয়েন্টি খেলি, তখন না কোনো চাপ আছে, না কোনো ভাবনা আছে। আমার কছে মনে হয় হলিডে ধরনের। সাথে একটা অভিজ্ঞতাও হয়। অর্থনৈতিক দিক অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সেটিও থাকে।’

‘টেস্ট ম্যাচে আমার যেটা হয় যে, যেহেতু আমি ব্যাটিং-বোলিং দুটিই করি, চারটা ইনিংসেই আমার অবদান রাখার দরকার হয়। দলও আশা করে। যদি আমি অর্ধেক অবদান রাখতে পারলাম, অর্ধেক পারলাম না, তাহলে দল যেটা আশা করে সেটা তো পুরো দিতে পারলাম না। পুরোটা না দিতে পারা আমার মনে হয় না ভালো দিক। আমি যখন চারটা ইনিংসেই ভালো করতে পারব, এবং আমার মনে হবে সেই সামর্থ্য আমার আছে বা সেই ইচ্ছাটাও থাকবে, আমার মনে হয় তখনই খেলার সেরা সময়। আমিতো চাইলেই খেলতে পারি। ম্যাচ ফি পাব, পারিশ্রমিক পাব। সবই পাব। কিন্তু ওভাবে খেলাটা আমার মনে হয় না খুব একটা গুরুত্ব বহন করে আমার কাছে। ঠিক আছে, এটা আমার চাকরী। কিন্তু দিন শেষে এখানে আমার আগ্রহ, আমার প্যাশন, ভালোবাসা থেকেই খেলাটা শুরু করা। ওইটা যদি না থাকে, ওই খেলাটার মানে আছে বলে মনে করি না’- বলেন সাকিব।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়