চাল-গম আত্মসাৎ : দুই খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ৯২ মেট্রিক টন চাল ও গম আত্মসাৎ মামলার আসামি নেত্রকোনার দুই খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা শিগগিরই বিচারকি আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন, খালিয়াজুরী উপজেলার সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে রেকর্ডপত্রে ঘষা-মাঝা, ফ্লুইড ব্যবহার করে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে লেজার হতে বেশি চাল বা বস্তা প্রেরণ, একই ডিওর দুইবার চাল বিলি দেখিয়ে প্রেরণ; সীমাতিরিক্ত গুদাম ঘাটতি দেখিয়ে; কোনোরূপ বিলি আদেশ ছাড়াই খাদ্যশস্য বিলি, ২০১৫ সালে বর্ধিত বার্ষিক প্রতিবেদন (পিভিআর-এ) হিসাব কম দেখিানো, প্রাপক কেন্দ্রে ইনভয়েসের কপি প্রেরণ না করে; হিসাবে খালি বস্তা কম দেখিয়ে তা বিক্রয়সহ নানা জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ১৮৯.৯৪৫ মেট্রিক টন: চালের মূল্য হিসেবে ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১০ টাকা, ২.১১ মেট্রিক টন গমের মূল্য হিসেবে ৬০ হাজার ১৮৮ টাকা ও ২৮ হাজার ২৫০টি খালি বস্তার মূল্য হিসাবে ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেখিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে আসামিদের আত্মসাতের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। দুদকের ময়মনসিংহের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন