ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অবৈধ সম্পদ অর্জন : কাস্টমস কর্মকর্তাসহ আসামি ১১

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবৈধ সম্পদ অর্জন : কাস্টমস কর্মকর্তাসহ আসামি ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শরীফ মো. আল আমীন ও তার স্ত্রী, মা, বোনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম ইসমাইল আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কমিশন থেকে মামলাটি দায়েরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শরীফ মো. আল আমীন, তার মা শরীফ হাসিনা আজিম, বোন শরীফা খানম, স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা, আত্মীয় সোনালী ব‌্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার রেজওয়ানুল হক, রাবেয়া আক্তার, ছালেহা বেগম, এসএম খাইরুল আলম, কাজী নাদিমুজ্জামান, এম এম হুমায়ুন কবির এবং ফাতেমা বাচ্চু।

মামলায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শরীফ মো. আল-আমীন সহকারী কমিশনার (কাস্টমস) হিসেবে ৩১তম বিসিএস ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেন। কিন্তু একজন নবীন কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লি. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় নিজ নামে ৮০ লাখ টাকার এফডিআর, তার মা শরীফ হাসিনা আজিম ও তার বোন শরীফা খানমের নামে ৭৫ লাখ টাকা করে ২টি এফডিআর অর্থাৎ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর করেন। ওই দুটি এফডিআরের ১০০ শতাংশ নমিনি তিনি নিজে। এমনকি দুদকে জিজ্ঞাসাবাদে ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎসের প্রমাণ মিলেনি।

সূত্র আরো জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে স্ত্রী, মা ও বোনসহ ১১ আত্মীয়স্বজনের নামে অবৈধ উপায়ে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত মোট ৬ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ২২২ টাকা নিজের ও বিভিন্ন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তার ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। তবে ওই অর্জিত অর্থের মধ্যে তিনি মোট ৪ কোটি ১২ লাখ ৫১ হাজার টাকা নগদে উত্তোলন করেছেন। ইতিমধ্যে ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৭ টাকা জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া তিনি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় একটি গাড়ি ক্রয় করেন।

দুদকের অনুসন্ধানে অন্য আসামিরা শরীফ মো. আল-আমীনকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুদকের মামলায় শরীফ মো. আল-আমীনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়