ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সালমান হত্যা মামলা : রুবির ভিডিও-বার্তা আদালতে উপস্থাপন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সালমান হত্যা মামলা : রুবির ভিডিও-বার্তা আদালতে উপস্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবির ফেসবুকের ভিডিও-বার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার মামলার বাদী সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে ওই ভিডিও-বার্তা আদালতে সিডি আকারে উপস্থাপন করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম মাহামুদা আক্তার শুনানি শেষে রুবির ভিডিও-বার্তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বর মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, এ মামলার আরেক আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত।

বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ আদালতে এসব আবেদন করেন। আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবির ভিডিও-বার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাকে গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদনে আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় থাকা আসামি রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিও-বার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ওই ভিডিও বার্তায় রুবি বলেছেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজবেন্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজবেন্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’ রুবি জানিয়েছেন, তার স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর তার (রুবি) ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে। রুবির ওই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন নাই। তাই এ মামলার তদন্তে ওই ভিডিও-বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই ভিডিও-বার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।

বিচার বিভাগীয় তদন্তের ওপর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত র‌্যাবকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিশন করলে র‌্যাবকে দেওয়া তদন্তের আদেশ বেআইনি ঘোষণা করা হয়। 

সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী নারাজি আবেদনে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করেন। অপর ১০ জন হলেন- সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, এফডিসির সহকারী নৃত্য পরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা বেগম।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ১১/বি নিউস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসায় নিজকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়