ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ছয় মামলায় আসামি হচ্ছেন ফালুসহ ১৬

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৭, ১৮ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছয় মামলায় আসামি হচ্ছেন ফালুসহ ১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন বিভাগের প্রায় ১০ একর জমি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজ নামে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রাক্তন উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ছয় মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার কমিশন সেসব মামলা দায়েরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকা থানার পালগাঁও মৌজায় ছয়টি দলিলের মাধ্যমে ৯ দশমিক ৬৪ একর জমি মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রেজিস্ট্রি করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এই জমির দলিল মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আত্মসাতের সহায়তা করার অভিযোগে সাব-রেজিস্টারসহ বাকি ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মোসাদ্দেক আলী ফালু ছাড়াও বাকি আসামিরা হলেন- ভালুকা উপজেলার প্রাক্তন সাব-রেজিষ্ট্রার মো. ফজলার রহমান। যিনি বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। ফালু ও সাব রেজিস্ট্রারকে ছয়টি মামলাতেই আসামি হিসেবে রয়েছেন।।

এ ছাড়া জমির দলিল লেখক মো. আকরাম হোসেন জুয়েল, জমির ভুয়া মালিক মো. রুহুল আমিন, মো. খোকা মিয়া, মো. ফললুল হক ওরফে দরবেশ আলী, মো. হাতেম আলী, জহুরা খাতুন, মো. নূরুল ইসলাম, মো. আব্দুল লতিফ, চম্পা আক্তার, সুফিয়া খাতুন, ফাতেমা খাতুন, জুবেদা খাতুন, মাজেদা বেগম ও সাফ খাতুনকে আসামির তালিকায় রয়েছেন।

অভিযোগে বিষয়ে দুদক আরো জানায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংরক্ষিত বনভূমি হিসাবে চূড়ান্তভাবে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ওই জমি হন্তান্তর, নামজারি, জমা-খারিজ, রেকর্ড সংশোধন ইত্যাদি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমি রেজিস্ট্রি করা হয়ে থাকলেও তা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়কে বলা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তির পরও সাব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান আইন ও বিধি বিধানকে অনুসরণ না করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের যোগসাজেশে ছয়টি দলিলে রেজিস্ট্রি করে সরকারি সম্পত্তি মোসাদ্দেক আলী ফালুকে হস্তান্তর করা হয়।

প্রতিবেদনে মোসাদ্দেক আলী ফালু ওই জমি বন বিভাগের সম্পত্তি জেনেও নিজে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়