১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলার রায় ২৯ নভেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা বাস মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইহসান এ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্টে ক্যাথরিন মাসুদের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলার শুনানি শুরু হয়।
আদালতে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে সাতজন, বাস মালিক সমিতির পক্ষে পাঁচজন ও রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন সাক্ষী দিয়েছেন।
অপরদিকে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলার শুনানি আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।
২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) মিশুক মুনীর। তারেক ও মিশুককে বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটিবাসের সংঘর্ষ ঘটে। তাতে তারেক-মিশুকসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ঘটনার দেড় বছরপর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সে ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ড্রাইভার জমির হোসেন, বাস মালিক কাসেদ মিয়া, মুজিবুল হক, মো. তুহিন, রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে বিবাদী করা হয়। এদের সবাই জামিনে রয়েছেন।
মামলায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রথমে সাত কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পরে ক্ষতিপূরণের দাবি বাড়িয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা করা হয়।
এরপর সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি জনস্বার্থে হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। মামলায় ৫ জনেকে বিবাদী করা হয়।
আদালত সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের আলোকে হাইকোর্টে বদলির জন্য বাদীদের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর।
সড়ক দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা কোনো মামলা প্রথমবারের মতো উচ্চ আদালতে শুনানি হলো।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ নভেম্বর ২০১৭/মেহেদী/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন