ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাইকোর্টে ২৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চান সেই মাকসুদা

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ১৬ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাইকোর্টে ২৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চান সেই মাকসুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার শিকার মাকসুদা বেগম ক্ষতিপুরণ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১০ ডিসেম্বর এই আবেদনের উপর শুনানি হবে।

ভুল চিকিৎসার শিকার মাকসুদা বেগমের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা আজ আদালতে বলেছি, ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দরকার। আদালত বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনবেন।’

এদিকে চিকিৎসক হিসেবে প্রসুতির অপারেশনকারী ভুয়া চিকিৎসক  রাজন দাস এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে পুলিশ খুজে পাচ্ছে না। হাইকোর্ট তাকে গ্রেপ্তার করে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত ওসিকে উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা ইচ্ছা করলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। প্রয়োজন হলে র‌্যাবের সহযোগিতা নেবেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী। রাজন দাসের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহিনা তাজরিন।

‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা। এ প্রতিবেদন দেখার পর আদালত ২৩ জুলাই আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন, বরিশাল মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধান এবং নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে তলব করেন। এরপর তারা আদালতে হাজির হন। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর সিভিল সার্জন তদন্ত শেষে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসক হিসেবে রাজন দাসের সনদ জাল। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজন দাসকে আদালত তলব করেন। গত ৬ নভেম্বর তার আদালতে হাজির হওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মাকসুদা বেগম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাকসুদা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অস্ত্রোপচারের পর তার পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয়। পরে ১২ জুলাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাকসুদার আবার অস্ত্রোপচার হয় এবং পেটের ভেতর থেকে গজ বের করা হয়। এ নিয়ে প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ নভেম্বর ২০১৭/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়