ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়ে শুনানি ১৬ জানুয়ারি

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়ে শুনানি ১৬ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৬ জানুয়ারি  নির্ধারণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন পেছানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

শুনানির  দিন নির্ধারণের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষে বেশকিছু যুক্তি ও উদাহরণ আদালতকে অবহিত করেন।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো কোর্ট না। এটা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা পরিচালিত। এখানে সাজা দেওয়া যায় না। তারা অভিযোগ নেবার পর অভিযুক্তকে সাজা দিয়ে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান না কেন?

এ সময় আদালত আরো বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোর্ট নয় এই কারণে যে, কোর্টের একটি পরিবেশ থাকে। সেই পরিবেশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় থাকে না। সেখানে সেই পরিস্থিতি থাকে না।

অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের সঙ্গে সম্মতি পোষণ করে বলেন, হ্যাঁ, কোর্টের মামলায় সাক্ষী আসবে, তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে ইত্যাদি।

আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বিশেষ আইনের অধীনে আছে। কিন্তু আজ আপনারা সরকারে আছেন, আমরা (বিচারপতিগণ) আছি। কাল তো নাও থাকতে পারি। তখন এর প্রভাব পড়বে। দেশের বাইরে কোথাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের দ্বারা সাজার (কারাদণ্ড) বিধান নেই।

এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা আদালতকে বলেন, দেশের বাইরে অনেক দেশেই ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে সাজা দেওয়া হয়। কেউ ট্রেনে টিকেট না কেটে ওঠলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে সাজা দেওয়া হয়। এ সময় আদালত বলেন, সেসব দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজার বিধান নেই।

মুরাদ রেজা বলেন, সেখানেও সাজার বিধান আছে। তারা অপরাধ করলে তিন ধরনের সাজা দেওয়া হয়। আদালত এ সময় বলেন, সেখানে সাজার বিধান আছে কিন্তু জেল (কারাদণ্ড) নেই। ৬ মাস, ২ বছর করে তাদেরকে জেল দেওয়া হয় না।

এ সময় আদালত আরো বলেন, মোবাইল কোর্টে করতে হবে, কিন্তু বিচার বিভাগকে ছোট করে নয়। আমরা আগামী শুনানিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতিগুলো দেখবো।

আদালত এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, এ মামরার শুনানিতে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি শুধু সরকারের অ্যাটর্নি নন, আপনি অ্যাটর্নি ফর বাংলাদেশ। অ্যাটর্নি জেনারেল ফর বাংলাদেশ। তাই যখন শুনানি করবেন তখন নাগরিক অধিকারের কথা মাথায় রাখবেন। আমরা আপনার কাছে এই প্রত্যাশা করি।

পরে আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১৪টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের  বিরুদ্ধে লিভ টু  আপিলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলে আদেশে বলা হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়